বগুড়ায় সমবায় শিল্প সমিতির চেয়ারম্যানের কারাদণ্ড
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২২ পিএম
অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বগুড়ায় জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত আড়াই কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার অপরাধে সমবায় শিল্প বণিক সমিতির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলামকে পৃথক ধারায় চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অবৈধভাবে অর্জন করা প্রায় আড়াই কোটি টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি দমন বিশেষ আদালতের জজ মো. আয়েজ উদ্দিন এ রায় দেন।
দুদুকের পিপি আনোয়ার হোসেন জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, জহুরুল ইসলাম বগুড়ার গাবতলীর সোনারায় আটাপাড়া এলাকায় তছলিম উদ্দিন তরফদার ডিগ্রি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। পরবর্তীতে তিনি বগুড়ার সমবায় শিল্প বণিক সমিতির চেয়ারম্যান হন। তার বাড়ি গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের কামারচট্ট গ্রামে হলেও তিনি বগুড়া শহরের জামিলনগর এলাকায় বসবাস করেন। তার বিরুদ্ধে সমবায় সমিতির সম্পদ ও সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠে।
জহুরুল ইসলাম বছরের পর বছর ক্ষমতার দাপট, প্রভাব ও প্রতিপত্তি আর আইনজীবীর পরিচয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। এভাবে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত আড়াই কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেন। জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে অসঙ্গতি থাকায় এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে দুদক বগুড়া জেলা কার্যালয়ে মামলা হয়। দুদক বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সাবেক সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম তদন্ত শেষে গত ২০১৩ সালে তার (জহুরুল) বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষী গ্রহণ শেষে আদালত মঙ্গলবার দুপুরে তাকে সাজা দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তিন বছর ও তথ্য গোপন করায় এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অবৈধভাবে অর্জন করা দুই কোটি ৪৭ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুদকের পিপি আনোয়ার হোসেন জানান, দুটি সাজা একত্র চলার কারণে তাকে তিন বছর জেল ভোগ করতে হবে। এছাড়া তার অর্জন করা অবৈধ সম্পদ থেকে অর্জিত দুই কোটি ৪৭ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে। পরে আদালতের নির্দেশে আসামিকে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান মামলা পরিচালনা করেন।
