ফুটবল খেলা নিয়ে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১১
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নোয়াখালী সদর উপজেলার দাদপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের খলিফারহাট বাজারে এ সংঘর্ষের দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে।
এর আগে একই বাজারে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- যুবদল কর্মী মো.সিরাজ (৩৮) সবজি বিক্রেতা মো. গাজী আলম (৪৫) সিএনজিচালক মো. সিরাজ (৩৫) মো.শাহজাহান (২৫) ও পথচারী হিমেল (৩০), পথচারী সহিদ উল্লা (২২), আবু তাহের (২৮), ইব্রাহিম (৩২), আবুল কাশেম (৪০), আনার উল্লা (৩২) ও রফিক উল্লা (২৪)। আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খলিফারহাট বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, মঙ্গলবার বিকালে খলিফারহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে কিছু ছেলে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা নুরুল আমিনের অনুসারী সুরুজ মিয়া ছেলেদের মারধর করেন। ছোট ছোট ছেলেদের মারধর করাকে কেন্দ্র করে একই রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় খলিফারহাট বাজারে যুবদল কর্মী সিরাজের সঙ্গে সুরুজের বিরোধ দেখা দেয়।
একপর্যায়ে সুরুজ খলিফারহাট বাজারে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে সবজি বিক্রেতা ছররা গুলিতে আহত হন। এ ঘটনার জের ধরে বুধবার সকাল ১০টার দিকে সুরুজ ফের তার লোকজন নিয়ে খলিফারহাট বাজারে হামলা চালায়। ওই সময় তারা যুবদল কর্মী সিরাজ ও পথচারী হিমেলকে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এ সময় যুবদল কর্মী সিরাজের অনুসারীদের হামলায় প্রতিপক্ষের মো. শাহজাহান নামে এক যুবকও আহত হন। গুরুতর আহত গাজী, সিরাজ ও হিমেলকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার বিএনপি নেতা নুরুল আমিন ও তার অনুসারী সুরুজের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তাই এ বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো ও সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
ছররা গুলিতে ব্যবসায়ী আহত হওয়া ও বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ছররা গুলিতে ব্যবসায়ী আহত হওয়ার দাবি করতে পারে। তবে তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ২-৩ জন আহত হয়েছেন।
