জরিমানা দিয়ে হত্যা মামলা থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক চেয়ারম্যান
যশোর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যশোরের বাঘারপাড়ায় হানিফ হত্যা মামলায় জামদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল জরিমানা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন।
বুধবার মামলার চার্জ গঠন শেষে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামির দোষ স্বীকারের পর্যালোচনা শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. সালেহুজ্জামান এ আদেশ দিয়েছেন।
কামরুল ইসলাম টুটুল যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার আমুড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতে এপিপি দিলিপ কুমার চন্দ্র।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নিহত হানিফ যশোর শহরের লোনঅফিসপাড়ার রুস্তম আলীর ছেলে। তিনি যশোর সদরের দাইতলা এলাকায় জমি কিনে সেখানেই পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। গত ২০ জানুয়ারি বিকালে আসামি টুটুলসহ অন্যরা যশোর সদরের ঘোপ এলাকায় হানিফের মুরগির ফার্মে গিয়ে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় হানিফকে খুনের হুমকি দিয়ে যান আসামিরা।
এরপর ২৯ জানুয়ারি সকালে আসামি টুটুল মোবাইল করে হানিফকে দেখা করতে বলেন। দেখা না করায় ওই দিন বিকালে আসামিরা তার মুরগির ফার্মে গিয়ে হানিফকে তুলে নিয়ে জামদিয়া ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামে চেয়ারম্যান টুটুলের নিউ ইসলাম ব্রিকসে (এনআইবি) নিয়ে আটকে রাখেন। সেখানে হানিফকে মারপিট করার সময় আসামি টুটুলের লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে পেটে গুলি করে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। এরপর অপরিচিত লোকজন হানিফকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
হানিফের অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্বজনরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে দেন। ৩১ জানুয়ারি চিকিৎসা শেষে হানিফকে যশোরে আনার সময় পথিমধ্যে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ৩১ জানুয়ারি রাতে নিহতের স্ত্রী শিরিন সুলতানা বাঘারপাড়া থানায় টুটুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুলকে অভিযুক্ত করে গত ১ জুলাই আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রোকনুজ্জামান।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়। বুধবার (৫ নভেম্বর) এ মামলার চার্জগঠনের দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদী শিরিন সুলতানা আইনজীবীর মাধ্যমে আসামির সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে মর্মে আদালতে একটি এফিডেভিট জমা দেন।
বিচারক আসামি কারুজ্জামান টুটুলের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শেষে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামির দোষ স্বীকারের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর ৩০৪ ধারা অনুযায়ী এক রায়ে আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ব্যর্থতায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। আসামি কামরুজ্জামান টুটুল তাৎক্ষণিক জরিমানার ২০ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন।
