ক্যাম্পাসে নির্বাচনী আমেজ শুরু
বেরোবিতে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য কমিশন গঠন
রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদের নির্বাচনের জন্য ছয় সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ১১৬তম সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলীর সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
বুধবার (৫ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এহতেরামুল হক। তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা ২০২৫ অনুযায়ী সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে এই কমিশন গঠন করা হয়েছে।
গঠিত নির্বাচন কমিশনে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. ফেরদৌস রহমানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন- পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. শাহজামান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাসুদ রানা, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার সরকার, ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহসীনা আহসান এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. হাসান আলী।
সিন্ডিকেট সভায় সব সদস্য অংশগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের প্রত্যাশা, এই নির্বাচন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতৃত্বের চর্চা আরও সুসংহত হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথমবারের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় ও হল শিক্ষার্থী সংসদের নির্বাচন পেতে যাচ্ছে।
এদিকে দীর্ঘ প্রত্যাশিত বেরোবির কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশন গঠন করায় ক্যাম্পাসে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এ নিয়ে অনেকে উচ্ছ্বসিত। সাধরণ শিক্ষার্থী মাহজাবিন, মুমতাহাসহ অনেকেই এই নির্বাচন নিয়ে উচ্ছ্বসিত অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রত্যাশা নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়। নির্বাচন নিয়ে ক্যাম্পাসে যেন উদ্বেগ উৎকণ্ঠার পরিবেশ সৃষ্টি না হয়। তবে এখনো কোনো প্রার্থী বা ছাত্র সংগঠনের পক্ষে প্রচারণা শুরু হয়নি।
