কুমিল্লা-৩ আসন
বিএনপির সব উঠান বৈঠকে যুক্ত হচ্ছেন কায়কোবাদ
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর সংসদীয় আসনে বিএনপির সব উঠান বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হচ্ছেন দলের মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান।
সম্প্রতি বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর কায়কোবাদের নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। উপজেলার প্রতিটি গ্রামে চলছে উঠান বৈঠক। সব উঠান বৈঠকেই ভার্চুয়ালি যুক্ত হচ্ছেন কায়কোবাদ। উন্মুক্ত আলোচনায় কথা বলছেন ভোটার এবং সমর্থকদের সঙ্গে। এতে ভোটের মাঠে বাড়ছে উৎসাহ-উদ্দীপনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনয়ন লাভ করেন সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ। ওই আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। বিশেষ করে ২০০৮ সালের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করতে সক্ষম হন।
স্থানীয়রা জানান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি হয়ে তিনি গত ১৫ বছর নির্বাসিত জীবনযাপন করেন। বিদেশে অবস্থান করে দল এবং কর্মী সমর্থকদের গুছিয়ে রাখেন। তাই এবারের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহজেই তিনি বৈতরণী পার হতে পারবেন।
এদিকে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা না হলেও মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। কায়কোবাদ হেভিওয়েট প্রার্থী হলেও নির্বাচন এবং ভোটকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হাকিম সোহেল। তরুণ এ প্রার্থী এলাকায় জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য। তবে হেভিওয়েট প্রার্থী কায়কোবাদের সঙ্গে কতটুকু লড়াই করতে পারবেন সেটা সময়ই বলে দেবে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, কায়কোবাদ এ আসনের জনপ্রিয় এবং হেভিওয়েট প্রার্থী হলেও তিনি জনগণের মাঝে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তাই সব উঠান বৈঠক সভা-সমাবেশ এবং ওয়াজ মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হচ্ছেন।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা মজিবুল হক বলেন, কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর সংসদীয় আসনে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের বিকল্প কোনো নেতা নেই। তিনি শুধু বিএনপি নয়, সাধারণ জনগণের নেতা। আগামী নির্বাচনে কায়কোবাদ সাহেবের বিজয় হবে।
তিনি বলেন, আমরা কায়কোবাদ সাহেবের নির্দেশে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। এলাকার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করছি। তিনি নির্বাচিত হলে আধুনিক মুরাদনগর গড়ে তোলা হবে।
জামায়াতের প্রার্থী ইউসুফ হাকিম সোহেল বলেন, মুরাদনগরের মানুষ পরিবর্তন চাচ্ছে। জনসাধারণ সন্ত্রাস চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা দেখতে চায়। আমি জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। মানুষের পক্ষ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। মুরাদনগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে আজীবন কাজ করতে চাই।
