ভৈরবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ২৫
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০১ পিএম
প্রতীকী ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া গ্রামে দুই বংশের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় শেখ বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—তামজিদ মোল্লা (১৬), রাজু মোল্লা (২২), বাবু মিয়া (২৫), বশির মিয়া (৫৫), ফয়সাল মোল্লা (৩৭), সাইফুল (২২), শফিকুল ইসলাম (১৬), হযরত আলী (৪০), আব্দুর রহমান (১৬), ফখর উদ্দিন (১৬), শোয়েব (৩৬) প্রমুখ। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ নভেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লুন্দিয়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি ও শেখ বাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মোল্লা বাড়ির পক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউপি সদস্য হারুন মিয়া ও মুর্শিদ মিয়া; অন্যদিকে শেখ বাড়ির পক্ষের নেতৃত্ব দেন মাইন উদ্দিন মিয়া ও দিলু মিয়া।
এরপর ৪ ডিসেম্বর আগানগর ইউনিয়নের টুকচাঁনপুর মেঘনা বাজারে একটি বন্ধ হোটেলের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে যাওয়ার সময় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। সেই উত্তেজনা সোমবার সকাল থেকে বাড়তে থাকে এবং রাতে দা, বল্লম, লাঠি ও ইট-পাটকেলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ২৫ জনের বেশি আহত হন।
মোল্লা বাড়ির সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে যাওয়ার সময় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তা মারামারি এবং শেষে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে আমাদের মোল্লাবাড়ির অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
শেখবাড়ির গোলাপ মিয়া বলেন, মোল্লা বাড়ির বিএনপি-সমর্থিত লোকজন আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার শুরু করেছে। আমরা বিষয়টি জানতে চাইলে তর্কের একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে আমাদের পক্ষের ১০ জন আহত হয়।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক উম্মে হাবীবা জুঁই বলেন, রাত ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১১ জন চিকিৎসা নিতে আসেন। তাদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ভৈরব থানার ওসি আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে দুইটি পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-6937c890623a1.jpg)