সিআইডি কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতকারী গ্রেফতার, পকেটে ছাত্রলীগের কার্ড
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সিলেটে সাইবার মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেফতারের সময় সিআইডির এক কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়া দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তার নাম রহিম উদ্দিন রাজু (৩৩)। গ্রেফতারের পর তার পকেটে পাওয়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা পরিচয়ের একটি কার্ড পাওয়া যায়।
সোমবার রাতে সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. খোরশেদ আলমকে ছুরি করে পালিয়েছিল রাজু।
সিআইডির প্রেস নোটে জানানো হয়েছে, সাগরদীঘিরপাড় এলাকায় রাত ৯টার দিকে আসামি রাজুকে গ্রেফতার করতে গেলে ছুরি দিয়ে এসআই খোরশেদের বাম বগলের নিচে আঘাত করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। ছুরিকাঘাতে প্রায় তিন ইঞ্চি গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং বুকের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিরা কেটে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় খোরশেদ আলমকে সহকর্মীরা দ্রুত উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে রাতেই তার জরুরি অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয় এবং বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
ঘটনার পরপরই সিআইডি, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি ও এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের একাধিক দল যৌথভাবে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায়। টানা অভিযানের পর মঙ্গলবার ভোরে নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন মজুমদারী এলাকার একটি মেস থেকে রাজুকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী। গ্রেফতারের পর তার দেহ তল্লাশিতে পকেট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পরিচয়ে একটি ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করা হয়। এটির সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
একই সঙ্গে রাজুর দেখানো মতে এসআই খোরশেদ আলমকে আঘাতে ব্যবহৃত ছুরিটি সাগরদীঘি এলাকার একটি সরকারি নালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সিআইডির ডিআইজি ড. মো. আল মামুনুর আনসারী জানান, গ্রেফতারকৃত রহিম উদ্দিন রাজুর বিরুদ্ধে এর আগেও আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ, নারী ও শিশু নির্যাতন, মারধর, শ্লীলতাহানি, চুরি, ছিনতাই, হত্যাচেষ্টা এবং দ্রুতবিচার আইনসহ বিভিন্ন ধারায় মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক অপরাধে জড়িত ছিল এবং সাম্প্রতিক সময়ে একটি সাইবার মামলার বাদীর ছবি সংগ্রহ করে অশ্লীলভাবে সম্পাদনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে যৌন হয়রানি ও ব্ল্যাকমেইলিং করছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় সিআইডির কনস্টেবল মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় নতুন অভিযোগ দায়ের করেছেন, যা নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
