Logo
Logo
×

সারাদেশ

পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ

Icon

নলছিটি (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৫ পিএম

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ

ছবি: যুগান্তর

ঝালকাঠির নলছিটিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাকে বিদ্যালয়ের কক্ষে অবরুদ্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) উপজেলার করুয়াকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলিনা রানী গোস্বামীর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।  খবর পেয়ে পুলিশ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক মলিনা রানী এই স্কুলে যোগদানের পরেই ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছেন। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী তাকে অপসারণের দাবিতে সম্প্রতি মানববন্ধন করেন এবং বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছিল। প্রশ্নপত্র প্রধান শিক্ষকের আলমারিতে আটকানো ছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক এদিন বিদ্যালয়ে আসেননি। ফলে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে শিক্ষার্থী অভিভাবকরা ও এলাকাবাসী আরও ক্ষুব্ধ হন। মঙ্গলবার তিনি বিদ্যালয়ে এলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রুমে তালা দিয়ে তাকে আটকে রাখেন।

এ সময় ওই প্রধান শিক্ষক জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে ঘটনা জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরপরই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মলিনা রানী গোস্বামী তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিময়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকার কিছু লোক সরকারি পুকুর দখল করে রাখার প্রতিবাদ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানান, ওই প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে শুনে আমি ওই স্কুলে ছুটে যাই। তবে এর আগেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। স্থানীয়রা ও অভিভাবকরা ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। প্রধান শিক্ষকের এক আত্মীয় মারা যাওয়ায় তিনি সোমবার বিদ্যালয়ে যেতে পারেননি বলে জানান শিক্ষা কর্মকর্তা। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম