Logo
Logo
×

সারাদেশ

কিস্তির টাকা না পেয়ে হাঁস ধরে নিয়ে গেলেন এনজিও কর্মী

Icon

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১২ পিএম

কিস্তির টাকা না পেয়ে হাঁস ধরে নিয়ে গেলেন এনজিও কর্মী

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় টিএমএসএস এনজিওর কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গৃহস্থের পালিত চীনাহাঁস নিয়ে গেছে ওই এনজিওর মাঠকর্মী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি  হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আগৈলঝাড়া উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. মুরাদ হোসেনের স্ত্রী হাফিজা খানম একটি এনজিওর সদস্য। ওই এনজিও থেকে ২০২৫ সালের প্রথমদিকে ৬০ হাজার টাকা লোন উত্তোলন করেন হাফিজা খানম। প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ২৫০ টাকা করে নিয়মিত কিস্তি দিয়ে আসছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে কিস্তির টাকা উত্তোলন করতে ওই এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খানসহ দুইজন হাফিজা খানমের বাড়িতে আসেন। এ সময় হাফিজা কিস্তি দিতে অপারগতা জানান; কিন্তু ফিরোজ খান নাছোড়বান্দা, কিস্তির টাকা না নিয়ে হাফিজার বাড়ি থেকে যাবেন না। এ সময় ফিরোজ খান হাফিজার উঠানে থাকা হাঁস-মুরগি দেখে টাকার পরিবর্তে হাঁস দাবি করেন। হাফিজা কিস্তির পরিবর্তে হাঁস দিতে অপারগতা জানিয়ে পাশের বাড়িতে চলে যান।

এ সময় মাঠকর্মী ফিরোজ খান তার সঙ্গে থাকা সহযোগীকে নিয়ে ধাওয়া করে হাফিজার বাড়ি থেকে একটি চীনাহাঁস ধরে নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম জানান, সর্বশেষ একটি কিস্তির টাকা আগামী সপ্তাহে পরিশোধ করার কথা বললেও এনজিওর মাঠকর্মীরা আমার বাড়ির উঠান থেকে ধাওয়া করে বড় একটি চীনাহাঁস ধরে নিয়ে যায়। তখন আমি বাড়ি ছিলাম না। ওই হাঁসটির দাম এক হাজার ৬শ টাকা হবে। আমার মেয়ে লাবিবার পালিত শখের হাঁসটি ফেরত চাই।

উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাস গুপ্ত বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ঋণগ্রহীতার বাড়ি থেকে কোনো জিনিসপত্র আনার বৈধতা নেই। সদস্যের বাড়ি থেকে হাঁস আনার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। ওই এনজিও আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের আওতাভুক্ত নয়।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন, এই এনজিওটি আমার উপজেলার আওতাভুক্ত নয়। তারা কিভাবে এই উপজেলায় কাজ করে আমার জানা নেই। কিস্তির টাকার পরিবর্তে  হাস আনার বিষয়টি অবৈধ।

এনজিওটির অভিযুক্ত মাঠকর্মী ফিরোজ খান ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে হাঁস আনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ৮শ টাকা দাম ধরে হাঁস আনা হয়েছে।

এ ব্যাপারে এনজিওটির ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম হাঁস বিক্রি করে পরে টাকা দেবে। আমার এনজিওর মাঠকর্মী দাম ধরে কিনে আনলে অপরাধের কিছু নয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম