সাপের বিষের প্রথম ডাটাবেজ তৈরি করলেন রাবি অধ্যাপক
রাজশাহী ব্যুরো
১১ মার্চ ২০১৯, ১৬:০৫:১৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাপের বিষের প্রথম ডাটাবেজ তৈরি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু রেজা।
ডাটাবেজে দেশের অভ্যন্তরে পাওয়া মোট ৮৯টি সাপের জীবনবৃত্তান্তের বিস্তারিত তথ্য স্থান পেয়েছে।
জানা গেছে, ২০১০ সালে অধ্যাপক ড. আবু রেজা মলিকুলার বায়োলজি অ্যান্ড প্রোটিন সায়েন্স গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন। সেই গবেষণাগারের তত্ত্বাবধানেই তৈরি হয়েছে এই ডাটাবেজটি।
প্রতিষ্ঠিত এই ডাটাবেজের ঠিকানা:http://www.snakebd.com|
অধ্যাপক ড. আবু রেজা জানান, এ ডাটাবেজটি সাপবিষয়ক গবেষণায় সহায়তা করবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বলতে গেলে পৃথিবীতে এই ধরনের ডেটাবেজ এই প্রথম।
ওয়েবসাইটটিতে কালনাগিনী, গোখরা, কালো হলুদ ব্যান্ড লাঠি, মোহনার লাঠি, শঙ্খীনি, ধামান, পাথরসহ প্রায় ৮৯ ধরণের সাপের বিষের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।
কোন সাপের কামড়ে কি ধরনের ভেনোম ব্যবহার করা যাবে, কত ধরনের ভেনোম আছে তার সবই আছে সেখানে।
গত প্রায় ৯ বছর ধরে সাপের বিষের ওপর গবেষণা করছেন প্রফেসর ড. আবু রেজা ।
তিনি যুগান্তরকে জানান, বাংলাদেশে পাওয়া বিভিন্ন প্রজাতির বিষাক্ত সাপ তার প্রত্যেকটির বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এই ডাটাবেজে। আমরা ফোকাস করেছি বিষাক্ত সাপগুলোর মধ্যে কি কি ধরণের বিষ এবং সেই বিষের গঠন আছে।
ডাটাবেজ তৈরির উদ্দেশ্য সম্পর্কে ড. রেজা বলেন, আমরা সাধারণত সাপের প্রোটিনের বিভিন্ন দিক খোঁজ করতে এনসিবিআইতে যাই। তার মধ্য থেকে একটি নির্দিষ্ট ভেনোম বের করা কঠিন। আমাদের ডটিাবেজে গিয়ে যদি কার্ডিওটক্সিন খুঁজে পেতে চাই সেটা খুব সহজ হবে। এখানে প্রায় ৩ শতাধিক সাপের ভেনোমের প্রোটিন বিশ্লেষণ করে একটা কাঠামো দেখিয়েছি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাপের বিষের প্রথম ডাটাবেজ তৈরি করলেন রাবি অধ্যাপক
সাপের বিষের প্রথম ডাটাবেজ তৈরি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু রেজা।
ডাটাবেজে দেশের অভ্যন্তরে পাওয়া মোট ৮৯টি সাপের জীবনবৃত্তান্তের বিস্তারিত তথ্য স্থান পেয়েছে।
জানা গেছে, ২০১০ সালে অধ্যাপক ড. আবু রেজা মলিকুলার বায়োলজি অ্যান্ড প্রোটিন সায়েন্স গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন। সেই গবেষণাগারের তত্ত্বাবধানেই তৈরি হয়েছে এই ডাটাবেজটি।
প্রতিষ্ঠিত এই ডাটাবেজের ঠিকানা: http://www.snakebd.com|
অধ্যাপক ড. আবু রেজা জানান, এ ডাটাবেজটি সাপবিষয়ক গবেষণায় সহায়তা করবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বলতে গেলে পৃথিবীতে এই ধরনের ডেটাবেজ এই প্রথম।
ওয়েবসাইটটিতে কালনাগিনী, গোখরা, কালো হলুদ ব্যান্ড লাঠি, মোহনার লাঠি, শঙ্খীনি, ধামান, পাথরসহ প্রায় ৮৯ ধরণের সাপের বিষের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।
কোন সাপের কামড়ে কি ধরনের ভেনোম ব্যবহার করা যাবে, কত ধরনের ভেনোম আছে তার সবই আছে সেখানে।
গত প্রায় ৯ বছর ধরে সাপের বিষের ওপর গবেষণা করছেন প্রফেসর ড. আবু রেজা ।
তিনি যুগান্তরকে জানান, বাংলাদেশে পাওয়া বিভিন্ন প্রজাতির বিষাক্ত সাপ তার প্রত্যেকটির বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এই ডাটাবেজে। আমরা ফোকাস করেছি বিষাক্ত সাপগুলোর মধ্যে কি কি ধরণের বিষ এবং সেই বিষের গঠন আছে।
ডাটাবেজ তৈরির উদ্দেশ্য সম্পর্কে ড. রেজা বলেন, আমরা সাধারণত সাপের প্রোটিনের বিভিন্ন দিক খোঁজ করতে এনসিবিআইতে যাই। তার মধ্য থেকে একটি নির্দিষ্ট ভেনোম বের করা কঠিন। আমাদের ডটিাবেজে গিয়ে যদি কার্ডিওটক্সিন খুঁজে পেতে চাই সেটা খুব সহজ হবে। এখানে প্রায় ৩ শতাধিক সাপের ভেনোমের প্রোটিন বিশ্লেষণ করে একটা কাঠামো দেখিয়েছি।