মোবাইলের জন্য মায়ের ওপর অভিমানে কলেজছাত্রের আত্মহত্যা
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
১৯ আগস্ট ২০১৯, ১৮:০৯:১৮ | অনলাইন সংস্করণ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় মোবাইল সারতে না পারায় মায়ের ওপর অভিমান করে আরমান হাওলাদার (১৮) নামের এক কলেজছাত্র ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
রোববার সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়া পৌরশহরের সবুজনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরমান উপজেলার মধ্য তুষখালী গ্রামের (বাঁশঘড়ি) সৌদি প্রবাসী আজাদ হাওলাদারের পুত্র। সে খুলনা সুন্দরবন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার কলেজছাত্র আরমানের এন্ড্রোয়েড মোবাইল সেটের ডিসপ্লে নষ্ট হয়। রোববার তার মা দুই সন্তানের জননী আয়শা আক্তার রিনাকে মোবাইল সেরে দেয়ার জন্য চাপ দেয়।
দুপুরে মা রিনা বেগমকে নিয়ে পৌরশহরের বিভিন্ন মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে মোবাইল সারতে না পেরে ব্যর্থ হয়ে মা-ছেলে বাসায় ফিরে যায়। বাসায় গিয়ে আরমান মাকে দ্রুত মোবাইল সেরে দেয়ার জন্য চাপ দেয়।
অসহায় মা রিনা বেগম ছেলের মোবাইলটি সেরে দেয়ার আশ্বাস দিলেও আরমানের মনোপুত না হওয়ায় সন্ধ্যায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, এর আগেও আরমান আরও দু'বার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
মঠবাড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল আমিন জানান, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ও তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মোবাইলের জন্য মায়ের ওপর অভিমানে কলেজছাত্রের আত্মহত্যা
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় মোবাইল সারতে না পারায় মায়ের ওপর অভিমান করে আরমান হাওলাদার (১৮) নামের এক কলেজছাত্র ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
রোববার সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়া পৌরশহরের সবুজনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরমান উপজেলার মধ্য তুষখালী গ্রামের (বাঁশঘড়ি) সৌদি প্রবাসী আজাদ হাওলাদারের পুত্র। সে খুলনা সুন্দরবন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার কলেজছাত্র আরমানের এন্ড্রোয়েড মোবাইল সেটের ডিসপ্লে নষ্ট হয়। রোববার তার মা দুই সন্তানের জননী আয়শা আক্তার রিনাকে মোবাইল সেরে দেয়ার জন্য চাপ দেয়।
দুপুরে মা রিনা বেগমকে নিয়ে পৌরশহরের বিভিন্ন মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে মোবাইল সারতে না পেরে ব্যর্থ হয়ে মা-ছেলে বাসায় ফিরে যায়। বাসায় গিয়ে আরমান মাকে দ্রুত মোবাইল সেরে দেয়ার জন্য চাপ দেয়।
অসহায় মা রিনা বেগম ছেলের মোবাইলটি সেরে দেয়ার আশ্বাস দিলেও আরমানের মনোপুত না হওয়ায় সন্ধ্যায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, এর আগেও আরমান আরও দু'বার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
মঠবাড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল আমিন জানান, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ও তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।