মসজিদের সোলার প্যানেল ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে
লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:১৮:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে মসজিদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত সোলার প্যানেল ল্যাম্পপোস্ট তুলে নিয়ে নিজের বাড়ির পাশে স্থাপন করেছেন ছাত্রলীগ নেতা আবুল খায়ের।
তিনি উপজেলার মৈশাতুয়া ইউনিয়নের হাজীপুরা গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। আবুল খায়ের মৈশাতুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানান, হাজীপুরা মজুমদার বাড়ি মুরশিদিয়া জামে মসজিদের ল্যাম্পপোস্টের সোলার প্যানেলটি স্থাপনের তিনদিন পর তিনি খুলে নিয়ে যান। ১৬ সেপ্টেম্বর এই নিয়ে তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই গ্রামের বাসিন্দা মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. এনায়েত উল্লাহ মজুমদার।
মো. এনায়েত উল্লাহ মজুমদার বলেন, আবুল খায়ের লোকজন নিয়ে মসজিদের সোলার ল্যাম্পপোস্ট তুলে নিয়ে যায়। মসজিদের কমিটির লোকজন ও মুসল্লিদের সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিযোগ করি। আমরা মসজিদের সম্পত্তি ফেরত চাই। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপার সৃষ্টি হচ্ছে।
ল্যাম্পপোস্ট নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আবুল খায়ের বলেন, অভিযোগটি মিথ্যা। মসজিদের সামনে কাদা থাকার কারণে জনগণের স্বার্থে সোলার ল্যাম্পপোস্টটি তিন রাস্তার মুখে লাগানো হয়েছে। আমার নিজ বাড়িতে লাগানো হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। সোলার পানেলটি মসজিদের জায়গায় পুনরায় স্থাপন করা হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মসজিদের সোলার প্যানেল ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে মসজিদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত সোলার প্যানেল ল্যাম্পপোস্ট তুলে নিয়ে নিজের বাড়ির পাশে স্থাপন করেছেন ছাত্রলীগ নেতা আবুল খায়ের।
তিনি উপজেলার মৈশাতুয়া ইউনিয়নের হাজীপুরা গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। আবুল খায়ের মৈশাতুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানান, হাজীপুরা মজুমদার বাড়ি মুরশিদিয়া জামে মসজিদের ল্যাম্পপোস্টের সোলার প্যানেলটি স্থাপনের তিনদিন পর তিনি খুলে নিয়ে যান। ১৬ সেপ্টেম্বর এই নিয়ে তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই গ্রামের বাসিন্দা মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. এনায়েত উল্লাহ মজুমদার।
মো. এনায়েত উল্লাহ মজুমদার বলেন, আবুল খায়ের লোকজন নিয়ে মসজিদের সোলার ল্যাম্পপোস্ট তুলে নিয়ে যায়। মসজিদের কমিটির লোকজন ও মুসল্লিদের সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিযোগ করি। আমরা মসজিদের সম্পত্তি ফেরত চাই। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপার সৃষ্টি হচ্ছে।
ল্যাম্পপোস্ট নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আবুল খায়ের বলেন, অভিযোগটি মিথ্যা। মসজিদের সামনে কাদা থাকার কারণে জনগণের স্বার্থে সোলার ল্যাম্পপোস্টটি তিন রাস্তার মুখে লাগানো হয়েছে। আমার নিজ বাড়িতে লাগানো হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। সোলার পানেলটি মসজিদের জায়গায় পুনরায় স্থাপন করা হবে।