নির্যাতনের প্রতিবাদে কেশবপুর থানা ঘেরাও করল হনুমানের দল
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:৫৬:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাচ্চাকে মারপিট করায় একদল (কালোমুখ বিরল প্রজাতির) হনুমান যশোরের কেশবপুর থানা ঘেরাও করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার দুপুরে ২০-২৫টি থানার প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়। তারা এক পর্যায়ে ডিউটি অফিসারের কক্ষে ঢুকে পড়ে।
কেশবপুর থানার ওসি মো. শাহিন যুগান্তরকে বলেন, একটি মা হনুমান কোলে বাচ্চা নিয়ে প্রথমে থানায় আসে। বাচ্চাকে কেউ মারপিট করে আহত করেছে। এরপর পরই প্রায় ২০-২৫টি হনুমান দলবদ্ধভাবে থানার প্রধান ফটকের সামনে ও ডিউটি অফিসারের কক্ষে অবস্থান নেয়।
হনুমানের হামলাকারীদের বিষয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন ওসি। এরপর কিছু শুকনো খাবার দিলে ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর তারা চলে যায়।
কেশবপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা আব্দুল মোনায়েম হোসেন জানান, শহর ও শহরতলীতে প্রায় ৫ শতাধিক হনুমান রয়েছে। তাদের জন্য প্রতিদিন মাত্র ৩৫ কেজি কলা, ২ কেজি বাদাম ও ২ কেজি পাউরুটি দেয়া হয়। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। খাবার না পেয়ে হনুমান মানুষের বসতবাড়ি ও অফিসে ঢুকে পড়ে।
তিনি বলেন, হনুমান অত্যন্ত স্পর্শকাতর প্রাণী। তাদের ওপর কেউ হামলা করলে তারা দলবদ্ধভাবে এভাবে থানায় যায়। ইতিপূর্বে এ রকম একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নির্যাতনের প্রতিবাদে কেশবপুর থানা ঘেরাও করল হনুমানের দল
বাচ্চাকে মারপিট করায় একদল (কালোমুখ বিরল প্রজাতির) হনুমান যশোরের কেশবপুর থানা ঘেরাও করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার দুপুরে ২০-২৫টি থানার প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়। তারা এক পর্যায়ে ডিউটি অফিসারের কক্ষে ঢুকে পড়ে।
কেশবপুর থানার ওসি মো. শাহিন যুগান্তরকে বলেন, একটি মা হনুমান কোলে বাচ্চা নিয়ে প্রথমে থানায় আসে। বাচ্চাকে কেউ মারপিট করে আহত করেছে। এরপর পরই প্রায় ২০-২৫টি হনুমান দলবদ্ধভাবে থানার প্রধান ফটকের সামনে ও ডিউটি অফিসারের কক্ষে অবস্থান নেয়।
হনুমানের হামলাকারীদের বিষয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন ওসি। এরপর কিছু শুকনো খাবার দিলে ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর তারা চলে যায়।
কেশবপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা আব্দুল মোনায়েম হোসেন জানান, শহর ও শহরতলীতে প্রায় ৫ শতাধিক হনুমান রয়েছে। তাদের জন্য প্রতিদিন মাত্র ৩৫ কেজি কলা, ২ কেজি বাদাম ও ২ কেজি পাউরুটি দেয়া হয়। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। খাবার না পেয়ে হনুমান মানুষের বসতবাড়ি ও অফিসে ঢুকে পড়ে।
তিনি বলেন, হনুমান অত্যন্ত স্পর্শকাতর প্রাণী। তাদের ওপর কেউ হামলা করলে তারা দলবদ্ধভাবে এভাবে থানায় যায়। ইতিপূর্বে এ রকম একাধিক ঘটনা ঘটেছে।