বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় ১৯ দালালের বিরুদ্ধে মামলা
যুগান্তর রিপোর্ট
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:২৩:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় ১৯ দালালকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ থানায় সাগরপথে রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়া পাচারের অভিযোগে টেকনাফ থানার সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার এমএস ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন।
এদিকে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরও চার দালালকে আটক করেছে পুলিশ। সেন্টমার্টিনে মালয়েশিয়ামী ট্রলারডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত আট দালালকে আটক করা হয়েছে।
আটক দালালরা হলেন- টেকনাফের নোয়াখালীপাড়ার হাসান আলীর ছেলে সৈয়দ আলম (২৮), আব্দুন ছালামের ছেলে মো. আব্দুল আজিজ (৩০), রশিদ আহম্মদের ছেলে মো. করিম (৪৯), উলা মিয়ার ছেলে ফয়েজ আহম্মদ (৫০), জুম্মা পাড়ার মো. আজমের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২০), মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. রফিক(২৬),উখিয়ার বালুখালী ১০ নম্বর ক্যাম্পের কবির হোসেনের ছেলে মো. ওসমান ও রাজার পাড়ার মোস্তাক আহম্মদের ছেলে হুমায়ুন কবির (২০)।
এদিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৩ জনকে। তাদের টেকনাফ থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্টগার্ড দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এ সময় ছেঁড়াদ্বীপের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় আবদুল্লাহ নামে আরেক রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১৯ দালালের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন আগেই আটক ছিল।
এ ছাড়া মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও চার দালালকে আটক করা হয়েছে। বাকি দালালদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে ট্রলারডুবির এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৩ জনকে, নিখোঁজ রয়েছেন ৫০ জন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় ১৯ দালালের বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় ১৯ দালালকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ থানায় সাগরপথে রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়া পাচারের অভিযোগে টেকনাফ থানার সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার এমএস ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন।
এদিকে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরও চার দালালকে আটক করেছে পুলিশ। সেন্টমার্টিনে মালয়েশিয়ামী ট্রলারডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত আট দালালকে আটক করা হয়েছে।
আটক দালালরা হলেন- টেকনাফের নোয়াখালীপাড়ার হাসান আলীর ছেলে সৈয়দ আলম (২৮), আব্দুন ছালামের ছেলে মো. আব্দুল আজিজ (৩০), রশিদ আহম্মদের ছেলে মো. করিম (৪৯), উলা মিয়ার ছেলে ফয়েজ আহম্মদ (৫০), জুম্মা পাড়ার মো. আজমের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২০), মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. রফিক(২৬), উখিয়ার বালুখালী ১০ নম্বর ক্যাম্পের কবির হোসেনের ছেলে মো. ওসমান ও রাজার পাড়ার মোস্তাক আহম্মদের ছেলে হুমায়ুন কবির (২০)।
এদিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৩ জনকে। তাদের টেকনাফ থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্টগার্ড দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এ সময় ছেঁড়াদ্বীপের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় আবদুল্লাহ নামে আরেক রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১৯ দালালের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন আগেই আটক ছিল।
এ ছাড়া মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও চার দালালকে আটক করা হয়েছে। বাকি দালালদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে ট্রলারডুবির এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৩ জনকে, নিখোঁজ রয়েছেন ৫০ জন।