ভালোবাসার সাজে সাজা হল না সাদিয়ার
ভোলা সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন। কথা ছিল বসন্তবরণ আর ভালোবাসার সাজে সাজবে। শহরের নানা অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।
শুক্রবার সাদিয়াকে ছাড়া ফ্যাকাসে হয়ে গেছে বন্ধুদের ওই সাজ ও উৎসব। এক দিন আগে ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে অভিমান করে তিনতলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে সাদিয়া।
বিষয়টি মেনে নেয়া যেমন পরিবারের জন্য ছিল পাথরসম, তেমনি কলেজের শিক্ষক ও সহপাঠীদের কাছে। শুক্রবার বসন্ত উৎসবে শোকাতুর ছিল বন্ধুরা।
কলেজ অধ্যক্ষ গোলাম জাকারিয়া শোক জানানোর পাশাপাশি এমন মেধাবী ছাত্রীর এভাবে এমন কাজ মেনে নিতে পারছেন না।
সাদিয়া এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল। কলেজের অভ্যন্তরীণ সব পরীক্ষায় ছিল সেরা তালিকায়। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ছিল সেরা। স্কুল জীবন থেকেই ছিল সেরা- এমনটাও জানান শিক্ষক সারমিন জাহান শ্যামলী।
স্থানীয়রা জানান, বিএম কলেজের অনার্স পড়ুয়া ইয়ানের সঙ্গে সাদিয়ার ছিল ভালো (প্রেম) সম্পর্ক। সম্প্রতি সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। বুধবার ইয়ানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাড়ি ফিরতে দেরি হয়। এ নিয়ে বাবা সমাজসেবা দফতরের ইউনিয়ন মাঠ কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বকবকি করেন।
অভিমান করে পাশের বাড়িতে গিয়ে কিছু সময় কাটিয়ে সন্ধ্যায় শাওন ভিলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন সাদিয়া। রাতেই ভোলা থেকে বরিশাল, বরিশাল থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে নেয়ার পথেই সাদিয়া মারা যায়।
ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেননি।
অপরদিকে সাদিয়ার পিতা নাসির উদ্দিনের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায়। দুই বোনের মধ্যে সাদিয়ে ছিল ছোট। ভোলা জেলা সদরের স্টেডিয়াম সড়কে শিল্পকলা একাডেমির পাশে ভাড়া বাড়িতে ছিল বসবাস।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ভালোবাসার সাজে সাজা হল না সাদিয়ার
ভোলা সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন। কথা ছিল বসন্তবরণ আর ভালোবাসার সাজে সাজবে। শহরের নানা অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।
শুক্রবার সাদিয়াকে ছাড়া ফ্যাকাসে হয়ে গেছে বন্ধুদের ওই সাজ ও উৎসব। এক দিন আগে ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে অভিমান করে তিনতলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে সাদিয়া।
বিষয়টি মেনে নেয়া যেমন পরিবারের জন্য ছিল পাথরসম, তেমনি কলেজের শিক্ষক ও সহপাঠীদের কাছে। শুক্রবার বসন্ত উৎসবে শোকাতুর ছিল বন্ধুরা।
কলেজ অধ্যক্ষ গোলাম জাকারিয়া শোক জানানোর পাশাপাশি এমন মেধাবী ছাত্রীর এভাবে এমন কাজ মেনে নিতে পারছেন না।
সাদিয়া এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল। কলেজের অভ্যন্তরীণ সব পরীক্ষায় ছিল সেরা তালিকায়। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ছিল সেরা। স্কুল জীবন থেকেই ছিল সেরা- এমনটাও জানান শিক্ষক সারমিন জাহান শ্যামলী।
স্থানীয়রা জানান, বিএম কলেজের অনার্স পড়ুয়া ইয়ানের সঙ্গে সাদিয়ার ছিল ভালো (প্রেম) সম্পর্ক। সম্প্রতি সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। বুধবার ইয়ানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাড়ি ফিরতে দেরি হয়। এ নিয়ে বাবা সমাজসেবা দফতরের ইউনিয়ন মাঠ কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বকবকি করেন।
অভিমান করে পাশের বাড়িতে গিয়ে কিছু সময় কাটিয়ে সন্ধ্যায় শাওন ভিলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন সাদিয়া। রাতেই ভোলা থেকে বরিশাল, বরিশাল থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে নেয়ার পথেই সাদিয়া মারা যায়।
ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেননি।
অপরদিকে সাদিয়ার পিতা নাসির উদ্দিনের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায়। দুই বোনের মধ্যে সাদিয়ে ছিল ছোট। ভোলা জেলা সদরের স্টেডিয়াম সড়কে শিল্পকলা একাডেমির পাশে ভাড়া বাড়িতে ছিল বসবাস।