মেলা থেকে বাড়ি ফেরা হলো না সাদিয়ার!
আবু তালেব, হাটহাজারী থেকে
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:৫৩:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাদিয়া আক্তার (১৪)। মাদ্রাসা ছুটির পর বাসায় ফিরে পড়ন্ত বিকালে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় গিয়েছিল ঘুরতে। এ সময় মেলায় সাদিয়া নাগরদোলা দেখে চড়ার লোভ সামলাতে পারেনি।
তাই সে বন্ধুদের সঙ্গে মনের সাধ মেটাতে নাগরদোলায় উঠে পড়ে। তবে নাগরদোলায় উঠা যে তার জন্য কাল হবে তা হয়তো সে জানত না।
চলন্ত অবস্থায় নাগরদোলার সঙ্গে শরীরের ওড়না পেঁচিয়ে মাঠিতে পড়ে গিয়ে সাদিয়া মারাত্বকভাবে আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
বৃহস্পতিবার বিকালে হাটহাজারী উপজেলার ১০ নম্বর উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছৈয়দ আহম্মদ হাট এলাকার আবদুল হামিদ শাহ্ এর বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মেলায় এ হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে।
সাদিয়া ওই ইউনিয়নের মোহাম্মদীয়া তৈয়বীয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে ওই এলাকার হাজী বজল সারাং বাড়ির হতদরিদ্র কৃষক মো. ইসহাক প্রকাশ কালুর কন্যা।
সে পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট বলে জানান উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের দফাদার ও নিহত সাদিয়ার চাচা মোহাম্মদ মূছা।
তিনি আরও জানান, আমার ভাইয়ের ছোট মেয়ে সাদিয়া মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরে মেলায় গিয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের একি নির্মম পরিহাস, সে মেলায় গিয়ে এভাবে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরবে তা কখনও ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।
তার এ অকাল মৃত্যু আমাদের পরিবারের সদস্যরা মেনে নিতে পারছে না। তার এ মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে সাদিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন তার শিক্ষক ও সহপাঠীরা। মেধাবী এই ছাত্রী এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না তার শিক্ষকরা। প্রিয় বান্ধবীর মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকাতুর তার সহপাঠীরাও।
সাদিয়ার মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়লে স্বজনদের আহাজারিতে এলাকায় এক হৃয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মেলা থেকে বাড়ি ফেরা হলো না সাদিয়ার!
সাদিয়া আক্তার (১৪)। মাদ্রাসা ছুটির পর বাসায় ফিরে পড়ন্ত বিকালে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় গিয়েছিল ঘুরতে। এ সময় মেলায় সাদিয়া নাগরদোলা দেখে চড়ার লোভ সামলাতে পারেনি।
তাই সে বন্ধুদের সঙ্গে মনের সাধ মেটাতে নাগরদোলায় উঠে পড়ে। তবে নাগরদোলায় উঠা যে তার জন্য কাল হবে তা হয়তো সে জানত না।
চলন্ত অবস্থায় নাগরদোলার সঙ্গে শরীরের ওড়না পেঁচিয়ে মাঠিতে পড়ে গিয়ে সাদিয়া মারাত্বকভাবে আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
বৃহস্পতিবার বিকালে হাটহাজারী উপজেলার ১০ নম্বর উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছৈয়দ আহম্মদ হাট এলাকার আবদুল হামিদ শাহ্ এর বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মেলায় এ হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে।
সাদিয়া ওই ইউনিয়নের মোহাম্মদীয়া তৈয়বীয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে ওই এলাকার হাজী বজল সারাং বাড়ির হতদরিদ্র কৃষক মো. ইসহাক প্রকাশ কালুর কন্যা।
সে পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট বলে জানান উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের দফাদার ও নিহত সাদিয়ার চাচা মোহাম্মদ মূছা।
তিনি আরও জানান, আমার ভাইয়ের ছোট মেয়ে সাদিয়া মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরে মেলায় গিয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের একি নির্মম পরিহাস, সে মেলায় গিয়ে এভাবে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরবে তা কখনও ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।
তার এ অকাল মৃত্যু আমাদের পরিবারের সদস্যরা মেনে নিতে পারছে না। তার এ মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে সাদিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন তার শিক্ষক ও সহপাঠীরা। মেধাবী এই ছাত্রী এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না তার শিক্ষকরা। প্রিয় বান্ধবীর মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকাতুর তার সহপাঠীরাও।
সাদিয়ার মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়লে স্বজনদের আহাজারিতে এলাকায় এক হৃয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।