জামালপুরের যৌনপল্লী ‘লকডাউন’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জামালপুরের রানীগঞ্জ যৌনপল্লীকে এক মাসের জন্য ‘লকডাউন’ করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ জেলা কমিটির সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়। রোববার থেকেই এ আদেশ কার্যকর হয়।
সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, যৌনপল্লীগুলো এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। চলমান করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নানারকম সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশহিসেবে এই যৌনপল্লীতে লোকজনের যাতায়াত সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা ভালো। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই যৌনপল্লীকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হল।
তিনি আরও জানান, লকডাউনের কারণে সাময়িক সমস্যা হলেও এই অন্তর্বর্তীকালীন মানবিক কারণে সেখানকার দুই শতাধিক যৌনকর্মীর জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে প্রতিজন যৌনকর্মীকে এই এক মাসের জন্য ৩০ কেজি করে ত্রাণের চাল দেয়া হবে। এ ছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌনকর্মীদের কাছ থেকে ঘরভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ও ডিশ লাইন বিল না নেয়ার জন্য বাড়ির মালিকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে রানীগঞ্জ যৌনপল্লীতে ইতিমধ্যেই পুলিশ পাহারা জোরদার করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
সভা শেষে অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) তৌহিদ বিন হাসান, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী সাদিক, পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজিব সিংহ সাহাসহ একটি টিম বেলা ২টার দিকে রানীগঞ্জ যৌনপল্লীতে যান। তারা সেখানকার বাড়ির মালিক ও যৌনকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি বিভিন্ন বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানান।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
জামালপুরের যৌনপল্লী ‘লকডাউন’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জামালপুরের রানীগঞ্জ যৌনপল্লীকে এক মাসের জন্য ‘লকডাউন’ করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ জেলা কমিটির সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়। রোববার থেকেই এ আদেশ কার্যকর হয়।
সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, যৌনপল্লীগুলো এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। চলমান করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নানারকম সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশহিসেবে এই যৌনপল্লীতে লোকজনের যাতায়াত সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা ভালো। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই যৌনপল্লীকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হল।
তিনি আরও জানান, লকডাউনের কারণে সাময়িক সমস্যা হলেও এই অন্তর্বর্তীকালীন মানবিক কারণে সেখানকার দুই শতাধিক যৌনকর্মীর জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে প্রতিজন যৌনকর্মীকে এই এক মাসের জন্য ৩০ কেজি করে ত্রাণের চাল দেয়া হবে। এ ছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌনকর্মীদের কাছ থেকে ঘরভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ও ডিশ লাইন বিল না নেয়ার জন্য বাড়ির মালিকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে রানীগঞ্জ যৌনপল্লীতে ইতিমধ্যেই পুলিশ পাহারা জোরদার করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
সভা শেষে অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) তৌহিদ বিন হাসান, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী সাদিক, পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজিব সিংহ সাহাসহ একটি টিম বেলা ২টার দিকে রানীগঞ্জ যৌনপল্লীতে যান। তারা সেখানকার বাড়ির মালিক ও যৌনকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি বিভিন্ন বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানান।