যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর সেই মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন নতুন বাড়ি
যুগান্তর রিপোর্ট, তাহিরপুর
১৪ মে ২০২০, ১৭:২৫:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পাঁচ বছর ধরে প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় পড়ে থাকা অসহায় সেই মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক।
শুধু চিকিৎসাই নয়, সাদেক আলীকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে চিকিৎসা ভাতা ৫০ হাজার টাকা ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে ৭ লাখ টাকায় তার বসতবাড়ি তৈরি করে দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, মঙ্গলবার রাতে যুগান্তরের অনলাইন ভার্সনে ‘মুক্তিযোদ্ধা বাবার চিকিৎসা সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণে ফেসবুকে পোস্ট যুবকের’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের পর তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। পরদিন বুধবার সকালেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলীর চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণসহ সব ধরনের মানবিক সহায়তা দ্রুততম সময়ে পৌঁছে দিতে তাহিরপুরের ইউএনওকে নির্দেশ দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-১ এসএম খুরশিদ-উল-আলমকে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে প্রয়োজন সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়।
তাহিরপুরের ইউএনও বিজেন ব্যানার্জী যুগান্তরকে বলেন, বুধবার সকালেই আমি নিজে একজন মেডিকেল অফিসার (এমবিবিএস) কে সঙ্গে নিয়ে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি যাই। কিছু খাদ্যসামগ্রী, ফলমূল ও ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দিয়েছি মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলীর হাতে। চিকিৎসক তার প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওষুধ দিয়ে এসেছেন।
শয্যাশায়ী মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলীর বড় ছেলে শাওন ইসলাম বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, আমার পরিবারকে মানবিক সহায়তা দেয়াসহ ও বাবার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, তাহিরপুরের ইউএনওকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে দৈনিক যুগান্তরের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। তারা আমার বাবার অসহায় চিত্র তুলে ধরাতে আজ বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধা ৭টার দিকে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলীর চিকিৎসা সহায়তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন শাওন ইসলাম। বিষয়টি সরেজমিনে যাচাই করে সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিবেদন লেখেন দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার হাবিব সরোয়ার আজাদ। সংবাদটি যুগান্তর অনলাইনে প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী আলোচিত হয় ও প্রশাসনের নজরে আসে।
একাত্তরের রণাঙ্গণে সাদেক আলী ৫নং সেক্টরের ট্যাকেরঘাট ৪নং সাব-সেক্টরের অধীনে পাক বাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন। সাদেক আলীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ নং ১৮১০০৭, মুক্তিবার্তা নং লাল বই ০৫০২০৮১১৮, গেজেট নং ৩১১২।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর সেই মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন নতুন বাড়ি

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পাঁচ বছর ধরে প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় পড়ে থাকা অসহায় সেই মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক।
শুধু চিকিৎসাই নয়, সাদেক আলীকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে চিকিৎসা ভাতা ৫০ হাজার টাকা ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে ৭ লাখ টাকায় তার বসতবাড়ি তৈরি করে দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, মঙ্গলবার রাতে যুগান্তরের অনলাইন ভার্সনে ‘মুক্তিযোদ্ধা বাবার চিকিৎসা সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণে ফেসবুকে পোস্ট যুবকের’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের পর তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। পরদিন বুধবার সকালেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলীর চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণসহ সব ধরনের মানবিক সহায়তা দ্রুততম সময়ে পৌঁছে দিতে তাহিরপুরের ইউএনওকে নির্দেশ দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-১ এসএম খুরশিদ-উল-আলমকে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে প্রয়োজন সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়।
তাহিরপুরের ইউএনও বিজেন ব্যানার্জী যুগান্তরকে বলেন, বুধবার সকালেই আমি নিজে একজন মেডিকেল অফিসার (এমবিবিএস) কে সঙ্গে নিয়ে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি যাই। কিছু খাদ্যসামগ্রী, ফলমূল ও ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দিয়েছি মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলীর হাতে। চিকিৎসক তার প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওষুধ দিয়ে এসেছেন।
শয্যাশায়ী মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলীর বড় ছেলে শাওন ইসলাম বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, আমার পরিবারকে মানবিক সহায়তা দেয়াসহ ও বাবার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, তাহিরপুরের ইউএনওকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে দৈনিক যুগান্তরের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। তারা আমার বাবার অসহায় চিত্র তুলে ধরাতে আজ বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধা ৭টার দিকে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলীর চিকিৎসা সহায়তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন শাওন ইসলাম। বিষয়টি সরেজমিনে যাচাই করে সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিবেদন লেখেন দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার হাবিব সরোয়ার আজাদ। সংবাদটি যুগান্তর অনলাইনে প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী আলোচিত হয় ও প্রশাসনের নজরে আসে।
একাত্তরের রণাঙ্গণে সাদেক আলী ৫নং সেক্টরের ট্যাকেরঘাট ৪নং সাব-সেক্টরের অধীনে পাক বাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন। সাদেক আলীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ নং ১৮১০০৭, মুক্তিবার্তা নং লাল বই ০৫০২০৮১১৮, গেজেট নং ৩১১২।