চট্টগ্রামে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার পরিকল্পনা হয় রকি বড়ুয়ার বাড়িতে
চট্টগ্রাম ব্যুরো
১৬ মে ২০২০, ২১:৩৬:১৩ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা বিবিরবিলা এলাকায় বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সেই রকি বড়ুয়া। এমনকি তার বাড়িতেই বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার পরিকল্পনা করা হয়।
হামলায় অংশ নেয় ১৫ থেকে ২০ জন। এর মধ্যে কেউ সরাসরি ভাংচুরে অংশ নিলেও অন্যরা ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করেছে।
মন্দিরে হামলার ঘটনায় কামাল উদ্দীন নামে এক ব্যক্তিকে শুক্রবার লোহাগাড়া থানা পুলিশ গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর এ সব তথ্য দেয়।
তাকে শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হলে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
মন্দিরে হামলার ঘটনায় রকি বড়ুয়ার বাবা জয়সেন বড়ুয়ার লোহাগাড়া থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার কামাল উদ্দিন জবানবন্দিতে আরও বলে, স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসহাব উদ্দিনের সঙ্গে রকি বড়ুয়ার অন্তঃদ্বন্দ্বের বিরোধের জের ধরে ধর্মকে ব্যবহার করে আসহাব উদ্দিনকে শায়েস্তা করতে চেয়েছিল রকি বড়ুয়া।
এর পরিকল্পনা হিসেবে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার আগে ৩ মে রাতে রকি বড়ুয়ার বাড়িতেই মন্দিরে হামলার পরিকল্পনা হয়। এমনকি হামলায় কারা অংশ নেবেন তাও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। ৪ মে ভোর ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে বৌদ্ধ মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ঘটনায় কামল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, রকি বড়ুয়ার নেতৃত্বে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে শায়েস্তা করতে মন্দিরে এ হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ মামলায় পর্যায়ক্রমে রকি বড়ুয়াকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত ১ এপ্রিল মধ্যরাতে যুদ্ধাপরাধে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পুত্র মাসুদ সাঈদী, তারেক মনোয়ার ও সমমনা কয়েকজনের সঙ্গে রকি বড়ুয়া তার লোহাগাড়ার বাড়িতে বৈঠক করে।
বেআইনিভাবে সাঈদীকে মুক্তির বিষয় নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হয় বলে জানতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বৈঠকের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। গত ১২ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার সহযোগীসহ রকি বড়ুয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চট্টগ্রামে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার পরিকল্পনা হয় রকি বড়ুয়ার বাড়িতে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা বিবিরবিলা এলাকায় বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সেই রকি বড়ুয়া। এমনকি তার বাড়িতেই বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার পরিকল্পনা করা হয়।
হামলায় অংশ নেয় ১৫ থেকে ২০ জন। এর মধ্যে কেউ সরাসরি ভাংচুরে অংশ নিলেও অন্যরা ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করেছে।
মন্দিরে হামলার ঘটনায় কামাল উদ্দীন নামে এক ব্যক্তিকে শুক্রবার লোহাগাড়া থানা পুলিশ গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর এ সব তথ্য দেয়।
তাকে শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হলে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
মন্দিরে হামলার ঘটনায় রকি বড়ুয়ার বাবা জয়সেন বড়ুয়ার লোহাগাড়া থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার কামাল উদ্দিন জবানবন্দিতে আরও বলে, স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসহাব উদ্দিনের সঙ্গে রকি বড়ুয়ার অন্তঃদ্বন্দ্বের বিরোধের জের ধরে ধর্মকে ব্যবহার করে আসহাব উদ্দিনকে শায়েস্তা করতে চেয়েছিল রকি বড়ুয়া।
এর পরিকল্পনা হিসেবে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার আগে ৩ মে রাতে রকি বড়ুয়ার বাড়িতেই মন্দিরে হামলার পরিকল্পনা হয়। এমনকি হামলায় কারা অংশ নেবেন তাও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। ৪ মে ভোর ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে বৌদ্ধ মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ঘটনায় কামল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, রকি বড়ুয়ার নেতৃত্বে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে শায়েস্তা করতে মন্দিরে এ হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ মামলায় পর্যায়ক্রমে রকি বড়ুয়াকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত ১ এপ্রিল মধ্যরাতে যুদ্ধাপরাধে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পুত্র মাসুদ সাঈদী, তারেক মনোয়ার ও সমমনা কয়েকজনের সঙ্গে রকি বড়ুয়া তার লোহাগাড়ার বাড়িতে বৈঠক করে।
বেআইনিভাবে সাঈদীকে মুক্তির বিষয় নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হয় বলে জানতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বৈঠকের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। গত ১২ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার সহযোগীসহ রকি বড়ুয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭।