অবশেষে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারটি পেল নিরাপদ ঠিকানা
পাকা বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে র্যাব-১২
যুগান্তর রিপোর্ট
২৪ মে ২০২০, ১৭:৫৬:১৯ | অনলাইন সংস্করণ
কুঁড়ে ঘরটা বদলে গেছে। সেখানে উঠেছে পাকা ঘর। ছনের বেড়ার জায়গায় এখন ইটের দেয়াল। নতুন ঘরে হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ আলী খুঁজে পেয়েছেন নিরাপদ আশ্রয়। জীর্ণ ঘর ছেড়ে নবনির্মিত পাকা বাড়িতে বসবাস শুরু করেছে তার পরিবার। নতুন ঘর পেয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুরের অঞ্জনগাছি গ্রামে মুরাদ আলীর পরিবারে বইছে খুঁশির জোয়ার।
‘ভিক্ষা করে বেঁচে আছে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার’- এমন খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলে এগিয়ে আসেন র্যাব-১২ অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল। তার উদ্যোগে মুরাদ আলীর ভিটায় পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাকাজ শেষে শনিবার চাবি তুলে দেয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
এলাকাবাসী জানায়, মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ আলীর বয়স প্রায় ৮০ বছর। একমাত্র মেয়ে ও জামাইসহ তার পরিবারের সদস্য ৫ জন। বয়সের ভারে মুরাদ আলী এখন ভালোভাবে হাঁটা-চলাও করতে পারেন না। সঞ্চিত টাকা পয়সা বা সম্পদ বলতে তার কিছুই নেই। দারিদ্রের কারণে অবশেষে ভিক্ষাবৃত্তিকেই বেছে নিতে হয়।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার এমন দুর্দশার খবর শুনে সাহয্যের হাত বাড়ায় র্যাব-১২। র্যাবের সহায়তায় মুরাদ আলীর ছনের কুঁড়ে বদলে যায় পাকা বাড়িতে।
শনিবার মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ আলীর হাতে বাড়ির চাবি তুলে দেয়ার পর র্যাব-১২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এই বাড়ি নির্মাণের মধ্য দিয়ে তাকে সহায়তার চেষ্টা করেছে র্যাব। আমরা আশা করছি এই সামান্য উপহার তার ঈদ আনন্দের মাত্রা কিছুটা হলেও বাড়াবে।
চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১২ এর কুষ্টিয়া কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র এএসপি সজল কুমার সরকারসহ স্থানীয় সাংবাদকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের মধ্যাঞ্চলে সর্বহারা ও জঙ্গিবাদ দমন, অস্ত্র মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে র্যাব-১২ প্রশংসিত ভুমিকা পালন করছে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন মানবিক আবেদনে তাৎক্ষণিক সাড়া দেয় র্যাব-১২, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পাকা বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে র্যাব-১২
অবশেষে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারটি পেল নিরাপদ ঠিকানা
কুঁড়ে ঘরটা বদলে গেছে। সেখানে উঠেছে পাকা ঘর। ছনের বেড়ার জায়গায় এখন ইটের দেয়াল। নতুন ঘরে হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ আলী খুঁজে পেয়েছেন নিরাপদ আশ্রয়। জীর্ণ ঘর ছেড়ে নবনির্মিত পাকা বাড়িতে বসবাস শুরু করেছে তার পরিবার। নতুন ঘর পেয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুরের অঞ্জনগাছি গ্রামে মুরাদ আলীর পরিবারে বইছে খুঁশির জোয়ার।
‘ভিক্ষা করে বেঁচে আছে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার’- এমন খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলে এগিয়ে আসেন র্যাব-১২ অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল। তার উদ্যোগে মুরাদ আলীর ভিটায় পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাকাজ শেষে শনিবার চাবি তুলে দেয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
এলাকাবাসী জানায়, মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ আলীর বয়স প্রায় ৮০ বছর। একমাত্র মেয়ে ও জামাইসহ তার পরিবারের সদস্য ৫ জন। বয়সের ভারে মুরাদ আলী এখন ভালোভাবে হাঁটা-চলাও করতে পারেন না। সঞ্চিত টাকা পয়সা বা সম্পদ বলতে তার কিছুই নেই। দারিদ্রের কারণে অবশেষে ভিক্ষাবৃত্তিকেই বেছে নিতে হয়।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার এমন দুর্দশার খবর শুনে সাহয্যের হাত বাড়ায় র্যাব-১২। র্যাবের সহায়তায় মুরাদ আলীর ছনের কুঁড়ে বদলে যায় পাকা বাড়িতে।
শনিবার মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ আলীর হাতে বাড়ির চাবি তুলে দেয়ার পর র্যাব-১২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এই বাড়ি নির্মাণের মধ্য দিয়ে তাকে সহায়তার চেষ্টা করেছে র্যাব। আমরা আশা করছি এই সামান্য উপহার তার ঈদ আনন্দের মাত্রা কিছুটা হলেও বাড়াবে।
চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১২ এর কুষ্টিয়া কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র এএসপি সজল কুমার সরকারসহ স্থানীয় সাংবাদকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের মধ্যাঞ্চলে সর্বহারা ও জঙ্গিবাদ দমন, অস্ত্র মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে র্যাব-১২ প্রশংসিত ভুমিকা পালন করছে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন মানবিক আবেদনে তাৎক্ষণিক সাড়া দেয় র্যাব-১২, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।