নিখোঁজের ১২ দিন পর যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
১৬ জুন ২০২০, ২৩:০৯:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
কুমিল্লার হোমনায় নিখোঁজের ১২ দিন পর এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় দুলালপুর আমিরুল ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষের মাটির নিচ থেকে জবাই করা বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দুলালপুর ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের মকবুল মিয়ার ছেলে ফয়সাল (১৮) এর সঙ্গে একই গ্রামের ফুল মিয়ার মেয়ে মেহেদী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ফয়সাল ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
প্রেমের টানে প্রায়ই তিনি বাড়ি চলে আসেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে মনোমালিন্য চলে আসছে। গত ৫ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন ফয়সাল। কে বা কারা ফয়সালকে মোবাইলে ডেকে নেয়। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ।
হোমনা-মেঘনা অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)ফজলুল করিম বলেন, থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করার পর প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রহস্য উদঘাটনে কার্যক্রম চালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ফুল মিয়ার মেয়ে মেহেদী আক্তার ও স্ত্রী লাইলী আক্তার নদীতে রক্ত মাথা পলিথিন ধোয়ার সূত্র ধরে তাদেরকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি।
পরবর্তীতে শামীম নামের মেয়ের ভাইকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়। তার দেখানো মতে বিদ্যালয়ের মেঝে থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। আগামীকাল লাশ ময়নাতদন্তরে জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন সওদাগর বলেন, ফুল মিয়া পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পাইকারচর গ্রাম থেকে এসে এখানে বসবাস করছে। সে এবং তার শ্যালক একাধিক হত্যা মামলার আসামী। সে পেশায় একজন কসাই।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নিখোঁজের ১২ দিন পর যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
কুমিল্লার হোমনায় নিখোঁজের ১২ দিন পর এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় দুলালপুর আমিরুল ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষের মাটির নিচ থেকে জবাই করা বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দুলালপুর ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের মকবুল মিয়ার ছেলে ফয়সাল (১৮) এর সঙ্গে একই গ্রামের ফুল মিয়ার মেয়ে মেহেদী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ফয়সাল ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
প্রেমের টানে প্রায়ই তিনি বাড়ি চলে আসেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে মনোমালিন্য চলে আসছে। গত ৫ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন ফয়সাল। কে বা কারা ফয়সালকে মোবাইলে ডেকে নেয়। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ।
হোমনা-মেঘনা অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)ফজলুল করিম বলেন, থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করার পর প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রহস্য উদঘাটনে কার্যক্রম চালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ফুল মিয়ার মেয়ে মেহেদী আক্তার ও স্ত্রী লাইলী আক্তার নদীতে রক্ত মাথা পলিথিন ধোয়ার সূত্র ধরে তাদেরকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি।
পরবর্তীতে শামীম নামের মেয়ের ভাইকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়। তার দেখানো মতে বিদ্যালয়ের মেঝে থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। আগামীকাল লাশ ময়নাতদন্তরে জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন সওদাগর বলেন, ফুল মিয়া পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পাইকারচর গ্রাম থেকে এসে এখানে বসবাস করছে। সে এবং তার শ্যালক একাধিক হত্যা মামলার আসামী। সে পেশায় একজন কসাই।