কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি, পানিবন্দি লাখো মানুষ
বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধরলা-ব্রহ্মপুত্রের পানি
ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ দুটি নদীর অববাহিকার তিন শতাধিক চর ও নদীসংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত এক লাখ মানুষ। রোববার দুপুরে ধরলার পানি বিপদসীমার ৬৭ ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এ ছাড়া নাগেশ্বরীর নুনখাওয়া পয়েন্টে দুধকোমর নদীর পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজার রহমান প্রধান জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। নিমজ্জিত ফসলের মধ্যে রয়েছে পাট, পটোল, বেগুন, ভুট্টা ও বীজতলা।
কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কসহ জেলা সদরের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
চরাঞ্চলের অনেকেই উঁচু ভিটা, নৌকা ও চৌকির ওপর আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ নিকটবর্তী বাঁধ, রাস্তা, আশ্রয়কেন্দ্র ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। তবে প্রবল বর্ষণের কারণে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেয়া পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রক্ষার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা ফেলাসহ দিনরাত তদারকি ও মনিটরিং কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে পানির প্রবল চাপে রাজারহাটের কালুয়ারচর, সদর উপজেলার সারডোবসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ভাঙনকবলিতদের সরিয়ে আনতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। এ ছাড়া শুক্রবার বন্যা ও ভাঙনকবলিত উপজেলাগুলোতে ৩০২ টন চাল ও সাড়ে ৩৬ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি, পানিবন্দি লাখো মানুষ
বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধরলা-ব্রহ্মপুত্রের পানি
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
২৮ জুন ২০২০, ১৬:৩৭:০৯ | অনলাইন সংস্করণ
ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ দুটি নদীর অববাহিকার তিন শতাধিক চর ও নদীসংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত এক লাখ মানুষ। রোববার দুপুরে ধরলার পানি বিপদসীমার ৬৭ ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এ ছাড়া নাগেশ্বরীর নুনখাওয়া পয়েন্টে দুধকোমর নদীর পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজার রহমান প্রধান জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। নিমজ্জিত ফসলের মধ্যে রয়েছে পাট, পটোল, বেগুন, ভুট্টা ও বীজতলা।
কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কসহ জেলা সদরের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
চরাঞ্চলের অনেকেই উঁচু ভিটা, নৌকা ও চৌকির ওপর আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ নিকটবর্তী বাঁধ, রাস্তা, আশ্রয়কেন্দ্র ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। তবে প্রবল বর্ষণের কারণে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেয়া পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রক্ষার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা ফেলাসহ দিনরাত তদারকি ও মনিটরিং কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে পানির প্রবল চাপে রাজারহাটের কালুয়ারচর, সদর উপজেলার সারডোবসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ভাঙনকবলিতদের সরিয়ে আনতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। এ ছাড়া শুক্রবার বন্যা ও ভাঙনকবলিত উপজেলাগুলোতে ৩০২ টন চাল ও সাড়ে ৩৬ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023