বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে ধরলা-ব্রহ্মপুত্রের পানি 

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি
 কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি 
২৯ জুন ২০২০, ০৪:৩৪ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৭৬ ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

এ ছাড়া দুধকোমর নদীর পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
 

পানিবন্দি প্রায় দেড় লাখ মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। ৫ দিন ধরে বন্যার পানিতে ভাসলেও এখন পর্যন্ত কারও ভাগ্যে ত্রাণ জোটেনি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম পানিবৃদ্ধির তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিস্তার ভাঙনে উলিপুরের নাগরাকুড়া টি বাঁধের ব্লক পিচিংসহ ৫০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। 


ভাঙন দেখা দিয়েছে সারডোব, নুনখাওয়া ও মোঘলবাসা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ ১৫টি স্পটে। পানির চাপে বাঁধ ভেঙে রৌমারী উপজেলা শহর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় প্রায় ৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। 


ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হু হু করে বাড়তে থাকায় এ দুটি নদীর অববাহিকায় ৫০ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। সাড়ে তিনশ চর ও নদীসংলগ্ন প্রায় সাড়ে তিনশ গ্রামের দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। 

অনেকেই রাস্তা, বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটের পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে তাদের ভোগান্তি বাড়ছে। সংকট দেখা দিয়েছে গোখাদ্যেরও।


কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কসহ জেলা সদরের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। চরাঞ্চলের অনেকেই উঁচু ভিটা, নৌকা ও চৌকির ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। 

কেউ কেউ নিকটবর্তী বাঁধ, রাস্তা, আশ্রয়কেন্দ্র ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। তবে প্রবল বর্ষণের কারণে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেয়া পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে। 


কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যা ও ভাঙনকবলিতদের সরিয়ে আনতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। এ ছাড়া বন্যা ও ভাঙনকবলিত ৯ উপজেলায় ৩০২ টন চাল ও ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। 

ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। খুব শিগগির ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন