বন্যায় কুড়িগ্রামে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাঁধ ভাঙন
কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যা পরিস্থিতির মাত্মক অবনতি ঘটেছে। ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকোমর নদীর পানি বিপদৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই-ছুঁই করছে।
তিস্তা নদীর প্রবল স্রোতে উলিপুরে নাগড়াকুড়া এলাকায় বাম তীর রক্ষায় প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টি-বাঁধটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে টি-বাঁধের ৫০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। টি-বাঁধটি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালু ভর্তি ৫ হাজার জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করেছে। আরও কয়েক হাজার ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, তিস্তার ভাঙনে উলিপুরের নাগরাকুড়া টি-বাঁধের ব্লক পিচিংসহ ৫০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে সারডোব, নুনখাওয়া মোঘলবাসা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ ১৫টি স্পটে। টি-বাঁধটি রক্ষায় দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার জন্য ৩জন ঠিকাদারের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ চলছে।
তিনি আরও জানান, টি-বাঁধটি রক্ষায় গত বছর ডিসেম্বরই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল। এরপর তিনবার প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে অর্থ বরাদ্দ পাওয়ায় তা দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি বাঁধটি রক্ষা করা যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রাম অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে উলিপুরের গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়া গ্রামে তিস্তা নদীর বাম তীর রক্ষায় টি-হেড গ্রোয়েনটি নির্মান করা হয়। এরপর থেকে প্রতি বর্ষা মৌসুমে টি-বাঁধটির বিভিন্ন অংশ ধসে যেতে থাকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কয়েক দফায় প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধটি রক্ষা করেন।
গত বছর বন্যায় টি-বাঁধটির প্রায় ১শ ৩৪ মিটার ধসে যায়। বর্তমানে তিস্তা নদীর তীব্র স্রোত থাকায় এবারও প্রায় ৫০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। টি-বাঁধটি রক্ষায় ২শ ৫০ কেজি ওজনের বালু ভর্তি ৫ হাজার জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। আরও কয়েক হাজার ব্যাগ ডাম্পিং এর কাজ চলমান রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ ক্ষতিগ্রস্থ টি-বাঁধ ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শণ করে জানান, ভাঙন রোধে সরকার সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। ভাঙনের খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখলাম নির্বাহী প্রকৌশলী যথাযথভাবে কাজ করছে। আজ থেকে আরও বেশি পরিমাণ শ্রমিক নিয়ে ভাঙন রোধের কাজ গতিশীল করা হয়েছে। সবার সহযোগীতা নিয়ে উলিপুরের নাগড়াকুড়ার টি-বাঁধ, কুড়িগ্রাম সদরের মোগবাসা ও নাগেশ্বরীর নুনখাওয়া এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন আমরা ঠেকাতে সক্ষম হব।
বন্যায় কুড়িগ্রামে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাঁধ ভাঙন
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
২৯ জুন ২০২০, ২৩:০৫:২৬ | অনলাইন সংস্করণ
কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যা পরিস্থিতির মাত্মক অবনতি ঘটেছে। ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকোমর নদীর পানি বিপদৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই-ছুঁই করছে।
তিস্তা নদীর প্রবল স্রোতে উলিপুরে নাগড়াকুড়া এলাকায় বাম তীর রক্ষায় প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টি-বাঁধটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে টি-বাঁধের ৫০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। টি-বাঁধটি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালু ভর্তি ৫ হাজার জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করেছে। আরও কয়েক হাজার ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, তিস্তার ভাঙনে উলিপুরের নাগরাকুড়া টি-বাঁধের ব্লক পিচিংসহ ৫০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে সারডোব, নুনখাওয়া মোঘলবাসা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ ১৫টি স্পটে। টি-বাঁধটি রক্ষায় দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার জন্য ৩জন ঠিকাদারের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ চলছে।
তিনি আরও জানান, টি-বাঁধটি রক্ষায় গত বছর ডিসেম্বরই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল। এরপর তিনবার প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে অর্থ বরাদ্দ পাওয়ায় তা দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি বাঁধটি রক্ষা করা যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রাম অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে উলিপুরের গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়া গ্রামে তিস্তা নদীর বাম তীর রক্ষায় টি-হেড গ্রোয়েনটি নির্মান করা হয়। এরপর থেকে প্রতি বর্ষা মৌসুমে টি-বাঁধটির বিভিন্ন অংশ ধসে যেতে থাকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কয়েক দফায় প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধটি রক্ষা করেন।
গত বছর বন্যায় টি-বাঁধটির প্রায় ১শ ৩৪ মিটার ধসে যায়। বর্তমানে তিস্তা নদীর তীব্র স্রোত থাকায় এবারও প্রায় ৫০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। টি-বাঁধটি রক্ষায় ২শ ৫০ কেজি ওজনের বালু ভর্তি ৫ হাজার জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। আরও কয়েক হাজার ব্যাগ ডাম্পিং এর কাজ চলমান রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ ক্ষতিগ্রস্থ টি-বাঁধ ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শণ করে জানান, ভাঙন রোধে সরকার সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। ভাঙনের খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখলাম নির্বাহী প্রকৌশলী যথাযথভাবে কাজ করছে। আজ থেকে আরও বেশি পরিমাণ শ্রমিক নিয়ে ভাঙন রোধের কাজ গতিশীল করা হয়েছে। সবার সহযোগীতা নিয়ে উলিপুরের নাগড়াকুড়ার টি-বাঁধ, কুড়িগ্রাম সদরের মোগবাসা ও নাগেশ্বরীর নুনখাওয়া এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন আমরা ঠেকাতে সক্ষম হব।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023