শেষ মুহূর্তে পাহাড়ে জমছে কোরবানি পশুর হাট
সুশীল প্রসাদ চাকমা, রাঙ্গামাটি
৩০ জুলাই ২০২০, ২১:০৬:৩১ | অনলাইন সংস্করণ
করোনাকালেও রাঙ্গামাটিতে শেষ মুহূর্তে জমছে কোরবানি পশুর হাট। শহরে বসানো দুই পশুর হাটে বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় পশু বেচাকেনা। এবার জেলা শহরে বসানো হয় দুই পশুর হাট। একটি পৌর ট্রাক টার্মিনাল এবং অপরটি রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায়।
হাট ঘুরে দেখা যায়, গত বছরের চেয়ে পশুর দাম বেশি। করোনার কারণে পাহাড়ি লোকজন সরাসরি পশু নিয়ে হাটে আসছেন না। পাহাড়িদের কাছ থেকে কিনে পশু সংগ্রহ করে হাটে নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জেলার বাইরে। ফলে এবার রাঙ্গামাটি শহরে বেশি দামে পশু কিনতে হচ্ছে বলে জানান ক্রেতারা।
অন্যদিকে গরু বিক্রেতা আমিনুল ও খোরদেশ আলম বলেন, এবার পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে গরু কিনতে পারছি না। করোনা আতঙ্কে সরাসরি পাড়ায় ঢুকতে নিষেধ করছেন তারা। পাহাড়ি এলাকা থেকে নিয়ে আসা গরু ভেতরে বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দাম দিয়ে কিনে শহরের হাটে আনতে হচ্ছে। তাই কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে পশু। আর গত বছরের চেয়ে এবার মোটাতাজা গরু বাজারে এসেছে।
ক্রেতা আবদুল সাত্তার ও আবদুল বারেক বলেন, এর দুই দিন আগে হাটে ক্রেতা কম ছিল। বুধবার থেকে বাজারে অনেক গরু আনা হচ্ছে। বেচাকেনাও জমেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম একটু বেশি। গত বছর আমরা যে গরু ৬০-৬৫ টাকায় কিনেছি, সেই আকারের গরু এবার কিনেছি ৭০-৮০ হাজার টাকায়।
এবার ট্রাক টার্মিনাল পশু হাটে সবচেয়ে বড় গরুটি বিক্রি হয়েছে ৬ লাখ টাকায়। আর খাসির দাম উঠেছে ২৫-৩০ হাজার টাকা।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর আরিফুল রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের আদেশক্রমে এবার শহরের মধ্যে দুটি কোরবানি পশুর হাট বসাতে দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে কোরবানি পশু কেনাবেচায় জনসাধারণকে সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস দাশ বলেন, কোরবানি পশুর ক্রেতা ও বিক্রেতার নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশের বেশ কিছু টিম মাঠে কাজ করছে। সব ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক কাজ করছে পুলিশ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শেষ মুহূর্তে পাহাড়ে জমছে কোরবানি পশুর হাট
করোনাকালেও রাঙ্গামাটিতে শেষ মুহূর্তে জমছে কোরবানি পশুর হাট। শহরে বসানো দুই পশুর হাটে বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় পশু বেচাকেনা। এবার জেলা শহরে বসানো হয় দুই পশুর হাট। একটি পৌর ট্রাক টার্মিনাল এবং অপরটি রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায়।
হাট ঘুরে দেখা যায়, গত বছরের চেয়ে পশুর দাম বেশি। করোনার কারণে পাহাড়ি লোকজন সরাসরি পশু নিয়ে হাটে আসছেন না। পাহাড়িদের কাছ থেকে কিনে পশু সংগ্রহ করে হাটে নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জেলার বাইরে। ফলে এবার রাঙ্গামাটি শহরে বেশি দামে পশু কিনতে হচ্ছে বলে জানান ক্রেতারা।
অন্যদিকে গরু বিক্রেতা আমিনুল ও খোরদেশ আলম বলেন, এবার পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে গরু কিনতে পারছি না। করোনা আতঙ্কে সরাসরি পাড়ায় ঢুকতে নিষেধ করছেন তারা। পাহাড়ি এলাকা থেকে নিয়ে আসা গরু ভেতরে বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দাম দিয়ে কিনে শহরের হাটে আনতে হচ্ছে। তাই কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে পশু। আর গত বছরের চেয়ে এবার মোটাতাজা গরু বাজারে এসেছে।
ক্রেতা আবদুল সাত্তার ও আবদুল বারেক বলেন, এর দুই দিন আগে হাটে ক্রেতা কম ছিল। বুধবার থেকে বাজারে অনেক গরু আনা হচ্ছে। বেচাকেনাও জমেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম একটু বেশি। গত বছর আমরা যে গরু ৬০-৬৫ টাকায় কিনেছি, সেই আকারের গরু এবার কিনেছি ৭০-৮০ হাজার টাকায়।
এবার ট্রাক টার্মিনাল পশু হাটে সবচেয়ে বড় গরুটি বিক্রি হয়েছে ৬ লাখ টাকায়। আর খাসির দাম উঠেছে ২৫-৩০ হাজার টাকা।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর আরিফুল রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের আদেশক্রমে এবার শহরের মধ্যে দুটি কোরবানি পশুর হাট বসাতে দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে কোরবানি পশু কেনাবেচায় জনসাধারণকে সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস দাশ বলেন, কোরবানি পশুর ক্রেতা ও বিক্রেতার নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশের বেশ কিছু টিম মাঠে কাজ করছে। সব ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক কাজ করছে পুলিশ।