গৌরীপুরে যুগান্তর স্বজন সমাবেশ ও সতিশা’র উদ্যোগে ক্রীড়া উৎসব
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
০৫ আগস্ট ২০২০, ১৯:৩৬:১৯ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে যুগান্তর স্বজন সমাবেশ এবং সতিশা যুব ও কিশোর সংঘের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসব বুধবার নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়।
উৎসবে আকর্ষণীয় ছিল মহিলাদের চোখ বেঁধে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় তারা দর্শকদের মাতিয়ে তুলেন। চৌত্রিশ মিনিটজুড়ে চলা এ প্রতিযোগিতায় ছিলো দর্শকদের মুহুর্মুহু করতালি। ষাটোর্ধ্ব রিজিয়া খাতুন জানান, জীবনেও এমন খেলা দেখি নাই। খুব আনন্দ পেয়েছি। এ প্রতিযোগিতায় প্রথম হন হোসনে আরা, দ্বিতীয় লিপা আক্তার আর তৃতীয় তাসলিম আক্তার।
১০ ফুট পানিতে ডুব দিয়ে মাছ ধরা, ভাসমান পানিতে হাঁস ধরা, মহিলাদের মোমবাতি প্রজ্বালন, বাদাম খাওয়া, পিঠা বানানো, ফুটবল খেলাসহ ১৯টি ইভেন্ট ছিল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সভাপতি এমদাদুল হক।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সতিশা যুব ও কিশোর সংঘের সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুরান ঢাকা স্বজন সমাবেশের সভাপতি শায়কা বানু, গৌরীপুর স্বজন সমাবেশের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আল রাজ, ইসলামাবাদ সিনিয়র মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মিন্টু, নওয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মফিজ উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, সজিব আহাম্মেদ, আব্দুল লতিফ ও খালিদ হোসেন।
গভীর পানিতে মাছ ধরে বিজয়ী হন বাবু মিয়া ও সফিকুল ইসলাম, ভাসমান পানিতে হাঁস ধরে বিজয়ী হন রামগোপালপুরের আতিকুল ইসলাম ও সতিশার আবুল বাসার এবং তুহিন মিয়া।
মহিলাদের পিঠা বানানো প্রতিযোগিতায় রিনা আক্তার, মিনুয়ারা বেগম, মনোয়ারা আক্তার ও মোমেনা খাতুন বিজয়ী হন। বাদাম খাওয়ায় শুভ আক্তার, বেবি আক্তার; মহিলাদের ফুটবলে সাদি আক্তার, সাদিয়া আক্তার, আনোয়ারা খাতুন; মোমবাতি প্রজ্বালনে রেজিয়া সুলতানা শাপলা, হোমায়রা শাহরিন তুলি ও রিপা আক্তার বিজয়ী হন। আজ বৃহস্পতিবার উৎসবে থাকছে মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান, ষাটোর্ধ্ব নারীদের হা-ডু-ডু, শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চাশোর্ধ্ব পুরুষদের ফুটবল প্রতিযোগিতা। এছাড়াও শৌখিন পিঠা তৈরি, পেঁয়াজ কাটা, নাড়ু খাওয়া, বালতিতে মাছ ধরা, বৌদি খেলা, শিশুদের নানা রঙের-ঢঙের রয়েছে ৫০টি ইভেন্ট; যা শেষ হবে ৯ আগস্ট পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
গৌরীপুরে যুগান্তর স্বজন সমাবেশ ও সতিশা’র উদ্যোগে ক্রীড়া উৎসব
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে যুগান্তর স্বজন সমাবেশ এবং সতিশা যুব ও কিশোর সংঘের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসব বুধবার নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়।
উৎসবে আকর্ষণীয় ছিল মহিলাদের চোখ বেঁধে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় তারা দর্শকদের মাতিয়ে তুলেন। চৌত্রিশ মিনিটজুড়ে চলা এ প্রতিযোগিতায় ছিলো দর্শকদের মুহুর্মুহু করতালি। ষাটোর্ধ্ব রিজিয়া খাতুন জানান, জীবনেও এমন খেলা দেখি নাই। খুব আনন্দ পেয়েছি। এ প্রতিযোগিতায় প্রথম হন হোসনে আরা, দ্বিতীয় লিপা আক্তার আর তৃতীয় তাসলিম আক্তার।
১০ ফুট পানিতে ডুব দিয়ে মাছ ধরা, ভাসমান পানিতে হাঁস ধরা, মহিলাদের মোমবাতি প্রজ্বালন, বাদাম খাওয়া, পিঠা বানানো, ফুটবল খেলাসহ ১৯টি ইভেন্ট ছিল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সভাপতি এমদাদুল হক।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সতিশা যুব ও কিশোর সংঘের সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুরান ঢাকা স্বজন সমাবেশের সভাপতি শায়কা বানু, গৌরীপুর স্বজন সমাবেশের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আল রাজ, ইসলামাবাদ সিনিয়র মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মিন্টু, নওয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মফিজ উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, সজিব আহাম্মেদ, আব্দুল লতিফ ও খালিদ হোসেন।
গভীর পানিতে মাছ ধরে বিজয়ী হন বাবু মিয়া ও সফিকুল ইসলাম, ভাসমান পানিতে হাঁস ধরে বিজয়ী হন রামগোপালপুরের আতিকুল ইসলাম ও সতিশার আবুল বাসার এবং তুহিন মিয়া।
মহিলাদের পিঠা বানানো প্রতিযোগিতায় রিনা আক্তার, মিনুয়ারা বেগম, মনোয়ারা আক্তার ও মোমেনা খাতুন বিজয়ী হন। বাদাম খাওয়ায় শুভ আক্তার, বেবি আক্তার; মহিলাদের ফুটবলে সাদি আক্তার, সাদিয়া আক্তার, আনোয়ারা খাতুন; মোমবাতি প্রজ্বালনে রেজিয়া সুলতানা শাপলা, হোমায়রা শাহরিন তুলি ও রিপা আক্তার বিজয়ী হন। আজ বৃহস্পতিবার উৎসবে থাকছে মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান, ষাটোর্ধ্ব নারীদের হা-ডু-ডু, শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চাশোর্ধ্ব পুরুষদের ফুটবল প্রতিযোগিতা। এছাড়াও শৌখিন পিঠা তৈরি, পেঁয়াজ কাটা, নাড়ু খাওয়া, বালতিতে মাছ ধরা, বৌদি খেলা, শিশুদের নানা রঙের-ঢঙের রয়েছে ৫০টি ইভেন্ট; যা শেষ হবে ৯ আগস্ট পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে।