যুবদল নেতা হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি
কুমিল্লায় আলোচিত যুবদল কর্মী এসএম তৌহিদ সোহেল হত্যা মামলায় আরেক যুবদল কর্মী আহসান হাবিব মিঠুর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত অপর দুইজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আহসান হাবিব মিঠু নগরীর রেইসকোর্স এলাকার মৃত কদম আলীর ছেলে এবং বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে নগরীর রেইসকোর্স এলাকার লাইট অব বেঙ্গল হোটেলে ১৮ দলীয় জোটের অনুষ্ঠান চলাকালে যুবদলকর্মী আহসান হাবিব মিঠুর সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এসএম তৌহিদ সোহেলের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন বিকালে রেইসকোর্স এলাকায় এসএম তৌহিদ সোহেলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওই রাতে নিহত এসএম তৌহিদ সোহেলের স্ত্রী বদরুন্নাহার লুনা বাদী হয়ে আহসান হাবিব মিঠুকে প্রধান আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গৌতম তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর আদালতে ৩ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আ. মান্নান মজুমদার এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া।
এদিকে আলোচিত এ মামলায় সব আসামির ফাঁসির রায় না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী বদরুন্নাহার লুনা। তিনি বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
যুবদল নেতা হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি
কুমিল্লায় আলোচিত যুবদল কর্মী এসএম তৌহিদ সোহেল হত্যা মামলায় আরেক যুবদল কর্মী আহসান হাবিব মিঠুর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত অপর দুইজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আহসান হাবিব মিঠু নগরীর রেইসকোর্স এলাকার মৃত কদম আলীর ছেলে এবং বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে নগরীর রেইসকোর্স এলাকার লাইট অব বেঙ্গল হোটেলে ১৮ দলীয় জোটের অনুষ্ঠান চলাকালে যুবদলকর্মী আহসান হাবিব মিঠুর সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এসএম তৌহিদ সোহেলের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন বিকালে রেইসকোর্স এলাকায় এসএম তৌহিদ সোহেলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওই রাতে নিহত এসএম তৌহিদ সোহেলের স্ত্রী বদরুন্নাহার লুনা বাদী হয়ে আহসান হাবিব মিঠুকে প্রধান আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গৌতম তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর আদালতে ৩ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আ. মান্নান মজুমদার এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া।
এদিকে আলোচিত এ মামলায় সব আসামির ফাঁসির রায় না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী বদরুন্নাহার লুনা। তিনি বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।