ক্রসফায়ারে হত্যা: ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা
কক্সবাজার প্রতিনিধি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:০৯:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রসফায়ারে হত্যার ঘটনায় টেকনাফের বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন পুলিশ সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের একজন দফাদার রয়েছেন।
কক্সবাজারে ক্রসফায়ারে মিজানুর রহমান নিহতের ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে রোববার দুপুরে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। নিহত মিজানুর রহমানের বোন টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরনাহার বাদী হয়ে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) হেলাল উদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ফয়সাল জানান, ভিকটিম মিজানুর রহমান মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ৫ এপ্রিল সকালে পুলিশ টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মসজিদ মার্কেটের দোকান থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তার বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
ওই সময় মিজানের পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিজানের পরিবার ধারকর্জ করে দুই লাখ টাকা দেয়। বাকি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় রাত পৌনে ১২টার দিকে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে মিজানুরকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ রোডে টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান, ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে দুই নম্বর আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৬ আগস্ট বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ পর্যন্ত এই হত্যা মামলায় ১৩ জনকে আটক করেছে র্যাব।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ক্রসফায়ারে হত্যা: ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা
ক্রসফায়ারে হত্যার ঘটনায় টেকনাফের বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন পুলিশ সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের একজন দফাদার রয়েছেন।
কক্সবাজারে ক্রসফায়ারে মিজানুর রহমান নিহতের ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে রোববার দুপুরে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। নিহত মিজানুর রহমানের বোন টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরনাহার বাদী হয়ে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) হেলাল উদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ফয়সাল জানান, ভিকটিম মিজানুর রহমান মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ৫ এপ্রিল সকালে পুলিশ টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মসজিদ মার্কেটের দোকান থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তার বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
ওই সময় মিজানের পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিজানের পরিবার ধারকর্জ করে দুই লাখ টাকা দেয়। বাকি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় রাত পৌনে ১২টার দিকে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে মিজানুরকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ রোডে টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান, ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে দুই নম্বর আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৬ আগস্ট বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ পর্যন্ত এই হত্যা মামলায় ১৩ জনকে আটক করেছে র্যাব।