টাঙ্গাইল সড়কের যানজট যেন নিত্যসঙ্গী
জাফর আহমেদ, টাঙ্গাইল
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:২৭:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ
জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার চারলেন মহাসড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। এতে ওই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে ধীরগতির কারণে প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। এ সড়কে চলাচলকারী চালক ও যাত্রীদের কাছে যানজট যেন নিত্যসঙ্গী।
জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার চারলেন মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘসময় কাজ বন্ধ থাকা এবং ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতাই এর মূল কারণ হিসেবে মনে করছেন তারা।
এদিকে মহাসড়কের বেশিরভাগ আন্ডারপাসের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় ওই স্থানগুলোতে প্রতি ঈদেই যানজট শুরু হয়। এরপর ওই স্থানগুলো থেকে সৃষ্টি হওয়া যানজট আরও দীর্ঘতম হতে থাকে। ফলে প্রতি ঈদেই তীব্র যানজটে পড়ে ঘরমুখো মানুষদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
এছাড়া এ সড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে বড়বড় গর্তের। এতে চরম বিপাকে পড়েছে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালকেরা। ফলে প্রতিনিয়তই ওই স্থানটিতে যানবাহন বিকল হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। তবে ইট দিয়ে এই গর্ত ভরাটের জন্য কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সরেজমিন গোড়াই এলাকায় গিয়ে এমন চিত্রই দেখা যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ গর্তগুলো একদিন মেরামত করলেও ২-৩ দিন পর আবার আগের মতো হয়ে যায়। তখন আর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোনো খোঁজ থাকে না। দায়সারাভাবে কাজ করার কারণেই এ গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।
উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী বিনিময় পরিবহনের চালক আমিনুল ইসলাম জানান, গোড়াই এলাকায় মহাসড়কের যে বেহাল অবস্থা তাকে করে তাদের ওই স্থানটি পাড়ি দিতে হিমশিম খেতে হয়। অনেক সময় গাড়ি বিকল হয়ে যায়। আর সেটি মেরামত করতে দীর্ঘ সময় লাগায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যায়।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কটি চারলেনে নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের প্রতি কিলোমিটারের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি টাকারও বেশি।
এ মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার প্রকল্পটি ২০১৩ সালে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়ে কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। চার প্যাকেজে কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে প্যাকেজ-৪ নম্বর পড়েছে এলেঙ্গা-টাঙ্গাইলের ১০ কিলোমিটার। দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিসিএলের এ অংশের নির্মাণকাজ করছে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিয়েনকো লিমিটেড। কাজের চুক্তিমূল্য ৩৫৬ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় প্যাকেজে টাঙ্গাইল থেকে কালিয়াকৈর বাইপাস ইন্টারসেকশন পর্যন্ত আরও ১৯ কিলোমিটার নির্মাণ করছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড ও মালয়েশিয়ার এইচসিএম ইঞ্জিনিয়ারিং। তৃতীয় প্যাকেজে দুল্লামারী রোড থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত ২২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার মহাসড়ক চারলেনে উন্নয়ন করছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামহোয়ান ও বাংলাদেশের মীর আখতার।
টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী নিরালা সুপার সার্ভিসের চালক সোলায়মান হাসান জানান, মহাসড়কের চার লেনের কাজ শেষ না হওয়ায় এবং গোড়াই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বড় বড় গর্তের কারণে মাঝে মাঝে যানবাহন বিকল হয়ে যায়। এক মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এ কারণে প্রতিনিয়তই এ স্থানটির ৬/৭ কিলোমিটারের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পরে থাকতে হয়।
নিত্যদিনের এ যানজটের ঘটনা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। এতে এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজারও যাত্রীকে মহাসড়কের ওই স্থানে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কোনো কোনো দিন এই যানজট দিনব্যাপীও স্থায়ী হয় বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
অপরদিকে মহাসড়কের ওই স্থানে কেন নিত্যদিন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে তা দেখতে সোমবার টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গণি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চারলেন প্রকল্প পরিচালক মো. ইসহাক হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
চারলেন প্রকল্পের পরিচালক মো. ইসহাক হোসেন জানান, মহাসড়কের গোড়াই ৩৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.২ মিটার প্রস্থ উড়াল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু মহাসড়কের ওই স্থানের উভয় পাশের হুকুম দখলকৃত জমির মূল্য এখনও পরিশোধ হয়নি। এজন্য মহাসড়কের উভয় পাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মালিকগণ তাদের স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে বিলম্ব করছেন। সার্ভিস লেন তৈরি না করেই উড়াল সেতুর নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে নিত্যদিন এই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে যানজটের কারণে উড়াল সেতু নির্মাণকাজের সঙ্গে জড়িত কর্মীরাও ঠিক মতো কাজ করতে পারছেন না। এজন্য কিছু কর্মী ওই স্থান থেকে সরিয়ে নেয়ার কথা জানান তিনি।
প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, মহাসড়কে চারলেন প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় ওই স্থানের উভয় গোড়াই বাসস্ট্যান্ড এলাকার উভয় স্থানে বড়বড় খানাখন্দ রয়েই গেছে। এতে উড়াল সেতুর কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করার পাশাপাশি নিত্যদিনের যানজটও সৃষ্টি হবে না বলে তিনি দাবি করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
টাঙ্গাইল সড়কের যানজট যেন নিত্যসঙ্গী
জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার চারলেন মহাসড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। এতে ওই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে ধীরগতির কারণে প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। এ সড়কে চলাচলকারী চালক ও যাত্রীদের কাছে যানজট যেন নিত্যসঙ্গী।
জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার চারলেন মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘসময় কাজ বন্ধ থাকা এবং ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতাই এর মূল কারণ হিসেবে মনে করছেন তারা।
এদিকে মহাসড়কের বেশিরভাগ আন্ডারপাসের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় ওই স্থানগুলোতে প্রতি ঈদেই যানজট শুরু হয়। এরপর ওই স্থানগুলো থেকে সৃষ্টি হওয়া যানজট আরও দীর্ঘতম হতে থাকে। ফলে প্রতি ঈদেই তীব্র যানজটে পড়ে ঘরমুখো মানুষদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
এছাড়া এ সড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে বড়বড় গর্তের। এতে চরম বিপাকে পড়েছে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালকেরা। ফলে প্রতিনিয়তই ওই স্থানটিতে যানবাহন বিকল হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। তবে ইট দিয়ে এই গর্ত ভরাটের জন্য কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সরেজমিন গোড়াই এলাকায় গিয়ে এমন চিত্রই দেখা যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ গর্তগুলো একদিন মেরামত করলেও ২-৩ দিন পর আবার আগের মতো হয়ে যায়। তখন আর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোনো খোঁজ থাকে না। দায়সারাভাবে কাজ করার কারণেই এ গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।
উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী বিনিময় পরিবহনের চালক আমিনুল ইসলাম জানান, গোড়াই এলাকায় মহাসড়কের যে বেহাল অবস্থা তাকে করে তাদের ওই স্থানটি পাড়ি দিতে হিমশিম খেতে হয়। অনেক সময় গাড়ি বিকল হয়ে যায়। আর সেটি মেরামত করতে দীর্ঘ সময় লাগায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যায়।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কটি চারলেনে নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের প্রতি কিলোমিটারের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি টাকারও বেশি।
এ মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার প্রকল্পটি ২০১৩ সালে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়ে কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। চার প্যাকেজে কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে প্যাকেজ-৪ নম্বর পড়েছে এলেঙ্গা-টাঙ্গাইলের ১০ কিলোমিটার। দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিসিএলের এ অংশের নির্মাণকাজ করছে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিয়েনকো লিমিটেড। কাজের চুক্তিমূল্য ৩৫৬ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় প্যাকেজে টাঙ্গাইল থেকে কালিয়াকৈর বাইপাস ইন্টারসেকশন পর্যন্ত আরও ১৯ কিলোমিটার নির্মাণ করছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড ও মালয়েশিয়ার এইচসিএম ইঞ্জিনিয়ারিং। তৃতীয় প্যাকেজে দুল্লামারী রোড থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত ২২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার মহাসড়ক চারলেনে উন্নয়ন করছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামহোয়ান ও বাংলাদেশের মীর আখতার।
টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী নিরালা সুপার সার্ভিসের চালক সোলায়মান হাসান জানান, মহাসড়কের চার লেনের কাজ শেষ না হওয়ায় এবং গোড়াই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বড় বড় গর্তের কারণে মাঝে মাঝে যানবাহন বিকল হয়ে যায়। এক মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এ কারণে প্রতিনিয়তই এ স্থানটির ৬/৭ কিলোমিটারের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পরে থাকতে হয়।
নিত্যদিনের এ যানজটের ঘটনা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। এতে এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজারও যাত্রীকে মহাসড়কের ওই স্থানে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কোনো কোনো দিন এই যানজট দিনব্যাপীও স্থায়ী হয় বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
অপরদিকে মহাসড়কের ওই স্থানে কেন নিত্যদিন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে তা দেখতে সোমবার টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গণি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চারলেন প্রকল্প পরিচালক মো. ইসহাক হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
চারলেন প্রকল্পের পরিচালক মো. ইসহাক হোসেন জানান, মহাসড়কের গোড়াই ৩৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.২ মিটার প্রস্থ উড়াল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু মহাসড়কের ওই স্থানের উভয় পাশের হুকুম দখলকৃত জমির মূল্য এখনও পরিশোধ হয়নি। এজন্য মহাসড়কের উভয় পাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মালিকগণ তাদের স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে বিলম্ব করছেন। সার্ভিস লেন তৈরি না করেই উড়াল সেতুর নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে নিত্যদিন এই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে যানজটের কারণে উড়াল সেতু নির্মাণকাজের সঙ্গে জড়িত কর্মীরাও ঠিক মতো কাজ করতে পারছেন না। এজন্য কিছু কর্মী ওই স্থান থেকে সরিয়ে নেয়ার কথা জানান তিনি।
প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, মহাসড়কে চারলেন প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় ওই স্থানের উভয় গোড়াই বাসস্ট্যান্ড এলাকার উভয় স্থানে বড়বড় খানাখন্দ রয়েই গেছে। এতে উড়াল সেতুর কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করার পাশাপাশি নিত্যদিনের যানজটও সৃষ্টি হবে না বলে তিনি দাবি করেন।