তরমুজের নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন করেছে বারি
গাজীপুর প্রতিনিধি
২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:০২:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ
দেশেই বীজ উৎপাদন সম্ভব- এমন দুটি তরমুজের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীরা। বারির সবজি বিভাগ এবং আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, লেবুখালি, পটুয়াখালীর যৌথ উদ্যোগে এ দুটি জাত উদ্ভাবন করা হয়।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত বিশুদ্ধ লাইন থেকে উদ্ভাবিত এ দুটি ওপি (ওপেন পলিনেটেড) জাতের একটির ভেতরে (মাংসল অংশ) হলুদ এবং অপরটির ভেতরে টকটকে লাল। শিগগিরই এ জাত দুটি নিবন্ধনের মাধ্যমে মুক্তায়িত করা হবে বলে জানান তারা।
সোমবার গাজীপুরে এ দুটি জাতের গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এবং বারির মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বারির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. মিয়ারুদ্দীন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম, সবজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসি ইসলাম, জাত উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীসহ বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা।
বারির প্রটোকল অফিসার মো. আল আমিন জানান, জাত উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বারির আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালে যেসব উন্নতমানের তরমুজ পাওয়া যায় তার প্রায় সবই জাপান বা অন্যান্য দেশ যেমন- চীন, থাইল্যান্ড, ভারত থেকে আমদানিকৃত শংকর জাতের বীজ থেকে উৎপাদন করা হয়। ফলে তরমুজের বীজ আমদানি বাবদ প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়। এছাড়া এসব জাতের বীজের বিশুদ্ধতা ও অঙ্কুরোদ্গম হার সব সময় ঠিক না থাকায় কৃষকরা প্রতারিত হয়ে থাকেন।
তিনি জানান, বারি উদ্ভাবিত জাত দুটি থেকে কৃষক নিজেই বীজ উৎপাদন করতে পারবেন। এদের ফলন, আকৃতি, স্বাদ ও মিষ্টতা প্রচলিত জাপানি শংকর জাতের চেয়ে উন্নততর। এছাড়া এ জাত দুটি বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী অমৌসুমি জাত হওয়ায় কৃষক এখান থেকে অধিক লাভবান হবেন। হাইব্রিড জাত হিসেবে মুক্তায়িত হওয়ার পর ব্যাপক সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে বীজ আমদানি বাবদ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচানো সম্ভব হবে এবং তরমুজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
তরমুজের নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন করেছে বারি
দেশেই বীজ উৎপাদন সম্ভব- এমন দুটি তরমুজের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীরা। বারির সবজি বিভাগ এবং আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, লেবুখালি, পটুয়াখালীর যৌথ উদ্যোগে এ দুটি জাত উদ্ভাবন করা হয়।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত বিশুদ্ধ লাইন থেকে উদ্ভাবিত এ দুটি ওপি (ওপেন পলিনেটেড) জাতের একটির ভেতরে (মাংসল অংশ) হলুদ এবং অপরটির ভেতরে টকটকে লাল। শিগগিরই এ জাত দুটি নিবন্ধনের মাধ্যমে মুক্তায়িত করা হবে বলে জানান তারা।
সোমবার গাজীপুরে এ দুটি জাতের গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এবং বারির মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বারির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. মিয়ারুদ্দীন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম, সবজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসি ইসলাম, জাত উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীসহ বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা।
বারির প্রটোকল অফিসার মো. আল আমিন জানান, জাত উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বারির আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালে যেসব উন্নতমানের তরমুজ পাওয়া যায় তার প্রায় সবই জাপান বা অন্যান্য দেশ যেমন- চীন, থাইল্যান্ড, ভারত থেকে আমদানিকৃত শংকর জাতের বীজ থেকে উৎপাদন করা হয়। ফলে তরমুজের বীজ আমদানি বাবদ প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়। এছাড়া এসব জাতের বীজের বিশুদ্ধতা ও অঙ্কুরোদ্গম হার সব সময় ঠিক না থাকায় কৃষকরা প্রতারিত হয়ে থাকেন।
তিনি জানান, বারি উদ্ভাবিত জাত দুটি থেকে কৃষক নিজেই বীজ উৎপাদন করতে পারবেন। এদের ফলন, আকৃতি, স্বাদ ও মিষ্টতা প্রচলিত জাপানি শংকর জাতের চেয়ে উন্নততর। এছাড়া এ জাত দুটি বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী অমৌসুমি জাত হওয়ায় কৃষক এখান থেকে অধিক লাভবান হবেন। হাইব্রিড জাত হিসেবে মুক্তায়িত হওয়ার পর ব্যাপক সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে বীজ আমদানি বাবদ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচানো সম্ভব হবে এবং তরমুজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।