দ্বিতীয় দফায় সাবেক এমপি আউয়াল ও তার স্ত্রীর জামিন
পিরোজপুর প্রতিনিধি
২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:১৪:২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত তিন মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল ও তার সহধর্মিণী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা লায়লা পারভীন আরও এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন লাভ করেছেন। সোমবার পিরোজপুরের নিম্ন আদালত থেকে দ্বিতীয় দফায় তারা জামিন পান।
এ সময় আদালতের ভেতর ও বাহিরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ও নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুদক পৃথকভাবে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত তিনটি মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল। মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে আসামি করা হয় এমপির সহধর্মিণী লায়লা পারভীনকে। তিনটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন এই দম্পতি।
সোমবার পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দ্বিতীয় দফায় ওই দম্পতির হাজিরার দিন ধার্য ছিল। সে অনুযায়ী বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহম্মদ মহিদুজ্জামানের আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালতের নিয়মিত কার্যবিবরণী শেষে আউয়াল ও তার সহধর্মিণীকে আরও এক মাসের জামিন প্রদান করা হয়।
জামিন লাভ করে ওই দম্পতি তাদের আইনজীবী ও রাজনৈতিক সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে আসেন।
একেএমএ আউয়ালের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাস জানান, গত ৭ জানুয়ারি আউয়াল ও লায়লা পারভীন দম্পতি নিম্ন আদালতে হাজিরার প্রথম দফায় পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজের আদালতের বিচারক আবদুল মান্নান শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ সময় জেলা বারের অন্তত ৩০ জন আইনজীবী আসামিদের পক্ষে মুভ করেন এবং তারা জেলা জজের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে তার অনিয়ম ও বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের ব্যাপক সমালোচনা করেন।
আউয়ালের সমর্থকরা ওই সময় আদালতের ভেতর ও বাহিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও স্লোগান দিতে থাকেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশের প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর একই দিন বিকাল ৪টা ১২ মিনিটে জেলা জজ আবদুল মান্নানকে স্ট্যান্ড রিলিজের নির্দেশ আসে ঢাকা থেকে। পরবর্তীতে বেশ নাটকীয়তার মধ্যে আদালতের দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনকে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করে আসামিদের ২০ হাজার টাকার বেল বন্ডের মাধ্যমে মানবিক ও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ২ মাসের জন্য আউয়াল ও লায়লা পারভীনকে জামিন প্রদান করেন।
এ নিয়ে পিরোজপুরসহ দেশব্যাপী আদালত ও মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে মিডিয়ার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দ্বিতীয় দফায় সাবেক এমপি আউয়াল ও তার স্ত্রীর জামিন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত তিন মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল ও তার সহধর্মিণী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা লায়লা পারভীন আরও এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন লাভ করেছেন। সোমবার পিরোজপুরের নিম্ন আদালত থেকে দ্বিতীয় দফায় তারা জামিন পান।
এ সময় আদালতের ভেতর ও বাহিরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ও নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুদক পৃথকভাবে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত তিনটি মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল। মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে আসামি করা হয় এমপির সহধর্মিণী লায়লা পারভীনকে। তিনটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন এই দম্পতি।
সোমবার পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দ্বিতীয় দফায় ওই দম্পতির হাজিরার দিন ধার্য ছিল। সে অনুযায়ী বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহম্মদ মহিদুজ্জামানের আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালতের নিয়মিত কার্যবিবরণী শেষে আউয়াল ও তার সহধর্মিণীকে আরও এক মাসের জামিন প্রদান করা হয়।
জামিন লাভ করে ওই দম্পতি তাদের আইনজীবী ও রাজনৈতিক সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে আসেন।
একেএমএ আউয়ালের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাস জানান, গত ৭ জানুয়ারি আউয়াল ও লায়লা পারভীন দম্পতি নিম্ন আদালতে হাজিরার প্রথম দফায় পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজের আদালতের বিচারক আবদুল মান্নান শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ সময় জেলা বারের অন্তত ৩০ জন আইনজীবী আসামিদের পক্ষে মুভ করেন এবং তারা জেলা জজের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে তার অনিয়ম ও বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের ব্যাপক সমালোচনা করেন।
আউয়ালের সমর্থকরা ওই সময় আদালতের ভেতর ও বাহিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও স্লোগান দিতে থাকেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশের প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর একই দিন বিকাল ৪টা ১২ মিনিটে জেলা জজ আবদুল মান্নানকে স্ট্যান্ড রিলিজের নির্দেশ আসে ঢাকা থেকে। পরবর্তীতে বেশ নাটকীয়তার মধ্যে আদালতের দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনকে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করে আসামিদের ২০ হাজার টাকার বেল বন্ডের মাধ্যমে মানবিক ও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ২ মাসের জন্য আউয়াল ও লায়লা পারভীনকে জামিন প্রদান করেন।
এ নিয়ে পিরোজপুরসহ দেশব্যাপী আদালত ও মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে মিডিয়ার মুখোমুখি হতে হয়েছে।