যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে এ কেমন নির্যাতন!
সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:২৮:২৫ | অনলাইন সংস্করণ
যৌতুকের দায়ে শিউলী বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূর শরীরে জ্বলন্ত সিগারেট ও গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়েছে তার স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ি। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই গৃহবধূ।
রোববার রাতে পীরগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরাবাদ ইউনিয়নের মোজাফফরপুর গ্রামে ওই গৃহবধূর ওপর নির্যাতন করা হয় বলে জানা গেছে।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্র জানায়, ৩ বছর আগে মোজাফফরপুর গ্রামের ফয়জার রহমানের ছেলে বিপুল মিয়া রিমুর সঙ্গে সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের উত্তর ফরিদুপর গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার মেয়ে শিউলী বেগমের বিয়ে হয়। ওই সময় মেয়ের সুখের জন্য লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র উপহার হিসেবে দেন পিতা ফেরদৌস মিয়া। এরপর শিউলী বেগমের সংসার জীবন কয়েক মাস ভালোই যাচ্ছিল।
বছরখানেক পর স্বামী রিমু মিয়া আবারও শিউলীর কাছে মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে। তার এ দাবি পূরণ করতে না পারায় প্রায়ই শিউলীর ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। এর ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে স্বামী রিমু মিয়া যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী শিউলীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্বলন্ত সিগারেট ও গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়।
এ সময় শ্বশুর ফয়জার রহমান ও শাশুড়ি রিনা বেগমও পুত্রবধূ শিউলীকে হত্যাচেষ্টায় বেধড়ক মারপিট করে। এতে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন শিউলী বেগম। এ ঘটনার খবর পেয়ে শিউলীর পিত্রালয়ের লোকজন সোমবার সকালে শিউলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহিনুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, শিউলীর শারীরিক অবস্থার এখনও উন্নতি হয়নি। তাকে সুস্থ করতে সুচিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে এ কেমন নির্যাতন!
যৌতুকের দায়ে শিউলী বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূর শরীরে জ্বলন্ত সিগারেট ও গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়েছে তার স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ি। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই গৃহবধূ।
রোববার রাতে পীরগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরাবাদ ইউনিয়নের মোজাফফরপুর গ্রামে ওই গৃহবধূর ওপর নির্যাতন করা হয় বলে জানা গেছে।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্র জানায়, ৩ বছর আগে মোজাফফরপুর গ্রামের ফয়জার রহমানের ছেলে বিপুল মিয়া রিমুর সঙ্গে সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের উত্তর ফরিদুপর গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার মেয়ে শিউলী বেগমের বিয়ে হয়। ওই সময় মেয়ের সুখের জন্য লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র উপহার হিসেবে দেন পিতা ফেরদৌস মিয়া। এরপর শিউলী বেগমের সংসার জীবন কয়েক মাস ভালোই যাচ্ছিল।
বছরখানেক পর স্বামী রিমু মিয়া আবারও শিউলীর কাছে মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে। তার এ দাবি পূরণ করতে না পারায় প্রায়ই শিউলীর ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। এর ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে স্বামী রিমু মিয়া যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী শিউলীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্বলন্ত সিগারেট ও গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়।
এ সময় শ্বশুর ফয়জার রহমান ও শাশুড়ি রিনা বেগমও পুত্রবধূ শিউলীকে হত্যাচেষ্টায় বেধড়ক মারপিট করে। এতে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন শিউলী বেগম। এ ঘটনার খবর পেয়ে শিউলীর পিত্রালয়ের লোকজন সোমবার সকালে শিউলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহিনুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, শিউলীর শারীরিক অবস্থার এখনও উন্নতি হয়নি। তাকে সুস্থ করতে সুচিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে।