তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপরে
ডিমলা প্রতিনিধি
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:১৬:১২ | অনলাইন সংস্করণ
নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা যায়।
গত বুধবার সকাল থেকে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বাড়তে শুরু করলে সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমা অতিক্রম করে। রাত ৯টায় তা আরও বৃদ্ধি পেয়ে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ সূত্র জানায়, অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে গত বুধবার সকাল থেকে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে।
বেলা ৩টার দিকে সেখানে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার অতিক্রম করে ১২ সেন্টিমিটার (৫২ দশমিক ৬০) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রাত ৯টায় তা আরও ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার ডিমলা উপজেলার নদীবেষ্টিত পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপানী, পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ও তিস্তার ভাটিতে জলঢাকার তিনটি ইউনিয়নসহ ১৫ গ্রামের ১০ হাজার পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
ঝুনাগাছচাপানি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামা ভেন্ডাবাড়ি ও ফরেস্টের চরের ৫ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কোথাও হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি বেড়ে এসব পরিবারের বসতভিটা তলিয়ে গেছে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় আমার ইউনিয়নের আটটি গ্রাম বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছে। এসব গ্রামের পরিবারগুলো সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে সকাল ৯টায় নদীর পানি বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সব কটি গেট (৪৪) খুলে রাখা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপরে
নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা যায়।
গত বুধবার সকাল থেকে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বাড়তে শুরু করলে সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমা অতিক্রম করে। রাত ৯টায় তা আরও বৃদ্ধি পেয়ে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ সূত্র জানায়, অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে গত বুধবার সকাল থেকে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে।
বেলা ৩টার দিকে সেখানে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার অতিক্রম করে ১২ সেন্টিমিটার (৫২ দশমিক ৬০) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রাত ৯টায় তা আরও ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার ডিমলা উপজেলার নদীবেষ্টিত পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপানী, পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ও তিস্তার ভাটিতে জলঢাকার তিনটি ইউনিয়নসহ ১৫ গ্রামের ১০ হাজার পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
ঝুনাগাছচাপানি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামা ভেন্ডাবাড়ি ও ফরেস্টের চরের ৫ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কোথাও হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি বেড়ে এসব পরিবারের বসতভিটা তলিয়ে গেছে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় আমার ইউনিয়নের আটটি গ্রাম বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছে। এসব গ্রামের পরিবারগুলো সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে সকাল ৯টায় নদীর পানি বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সব কটি গেট (৪৪) খুলে রাখা হয়েছে।