চার মাস পর কবর থেকে মুদি দোকানির লাশ উত্তোলন
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
০৪ অক্টোবর ২০২০, ১৮:৩২:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ

লক্ষ্মীপুরে ময়নাতদন্তের জন্য প্রায় চার মাসের মাথায় কবর থেকে মুদি দোকানি মো. রিপনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের চর আল হাসান গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বনি আমিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতাহের হোসেনসহ বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৬ জুন মুদি দোকানি রিপনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল উদ্দিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ দাফন করা হয়।
পরে রিপনকে হত্যার অভিযোগে ২ মাস ১৭ দিন পর ২৩ আগস্ট লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মৃত রিপনের বোন নাজমা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে ঘটনার দিন রিপনকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চাচা শাহ আলম মোল্লা, কামরুল মোল্লা, সাবিনা, কদবানু ও হারুন মাঝির নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়। রিপনের মৃত্যুর পর দোকান থেকে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি ঘটনার পর অভিযুক্তদের ঘর থেকে বের হয়ে যেতে দেখেছেন সাক্ষীরা। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচার করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় মামলা না করতে অভিযুক্তরা মৃত রিপনের বোনদের হুমকি-ধমকিও দেয়।
মামলার বাদী নাজমা আক্তার বলেন, জমি ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতেই আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য দুলাল উদ্দিন বলেন, স্বজনদের অনুমতি নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই রিপনের মরদেহ দাফনের জন্য থানায় আবেদন করেছিলাম। এটা আমার সিদ্ধান্ত ছিল না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোতাহের হোসেন জানান, লক্ষ্মীপুর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ ফের দাফন করা হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চার মাস পর কবর থেকে মুদি দোকানির লাশ উত্তোলন

লক্ষ্মীপুরে ময়নাতদন্তের জন্য প্রায় চার মাসের মাথায় কবর থেকে মুদি দোকানি মো. রিপনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের চর আল হাসান গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বনি আমিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতাহের হোসেনসহ বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৬ জুন মুদি দোকানি রিপনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল উদ্দিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ দাফন করা হয়।
পরে রিপনকে হত্যার অভিযোগে ২ মাস ১৭ দিন পর ২৩ আগস্ট লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মৃত রিপনের বোন নাজমা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে ঘটনার দিন রিপনকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চাচা শাহ আলম মোল্লা, কামরুল মোল্লা, সাবিনা, কদবানু ও হারুন মাঝির নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়। রিপনের মৃত্যুর পর দোকান থেকে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি ঘটনার পর অভিযুক্তদের ঘর থেকে বের হয়ে যেতে দেখেছেন সাক্ষীরা। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচার করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় মামলা না করতে অভিযুক্তরা মৃত রিপনের বোনদের হুমকি-ধমকিও দেয়।
মামলার বাদী নাজমা আক্তার বলেন, জমি ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতেই আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য দুলাল উদ্দিন বলেন, স্বজনদের অনুমতি নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই রিপনের মরদেহ দাফনের জন্য থানায় আবেদন করেছিলাম। এটা আমার সিদ্ধান্ত ছিল না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোতাহের হোসেন জানান, লক্ষ্মীপুর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ ফের দাফন করা হবে।