সিঁধ কেটে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে অচেতন করে অপহরণ
অনলাইন ডেস্ক
১৮ অক্টোবর ২০২০, ২২:৪০:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে অচেতন করে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের মুজুরদিয়া গ্রামে গত শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
বোয়ালমারী থানার জয়নগর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শনিবার রাতে বোয়ালমারী থানায় একই গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে লাভলুকে (৩৮) একমাত্র আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে শুক্রবার রাতে ঘরে ঘুমিয়েছিল। মেয়ের কক্ষের বাইরের ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন বাবা-মা। বাবা-মা সকালে ঘুম থেকে উঠে মেয়ের কক্ষের দরজার তালা খুলে দেখতে পায় সে ঘরে নেই। কাঁচা ঘরের দক্ষিণ পাশে সিঁধ কাটা দেখে ধারণা করে দুর্বৃত্তরা এই সিঁধ দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। চাঞ্চল্যকর এ অপহরণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে।
রোববার দুপুরে ওই কিশোরীর বাবা জানান, স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রায়ই তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত ও অশালীন প্রস্তাব দিত একই গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে দুই সন্তানের জনক লাভলু শেখ। ঘটনাটি ছাত্রী তার অভিভাবকদের জানালে তারা বিষয়টি লাভলুর পরিবারকে অবহিত করেন।
তিনি জানান, এতে লাভলু আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রীসহ পরিবারকে শায়েস্তা করার জন্য হুমকি দেয়। এবার সে কেবল স্কুলে যাওয়া-আসার পথে নয়; সরাসরি বাড়ির আশপাশে অবস্থান নিতে থাকে। এমনকি বাড়িতে গিয়েও তাকে মাঝে মধ্যে উত্ত্যক্ত করত। এক পর্যায়ে গত দুই মাস আগে ওই ছাত্রী টয়লেটে গেলে তার হাত ধরে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বখাটে লাভলু। ওই সময় ভুক্তভোগী পরিবারটি সোচ্চার হয়েও মানসম্মানের ভয়ে নীরব থাকে।
এরপর গত ১৬ অক্টোবর গভীর রাতে সিঁধ কেটে ওই ছাত্রীর কক্ষে প্রবেশ করে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায় লাভলু।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. বাহাউদ্দীন বাহার বলেন, লাভলু খারাপ প্রকৃতির লোক। তার স্ত্রী বিদেশে থাকেন, সেই সুযোগে সে এমন অপকর্ম করতে পারে। এছাড়া অনেক দিন ধরেই ওই পরিবারকে হয়রানি করছে লাভলু। আমি একাধিকবার সতর্ক করলেও কোনো ফল হয়নি।
বোয়ালমারী থানার ওসি মো. আমিনুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, এজাহার পেয়েছি, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সিঁধ কেটে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে অচেতন করে অপহরণ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে অচেতন করে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের মুজুরদিয়া গ্রামে গত শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
বোয়ালমারী থানার জয়নগর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শনিবার রাতে বোয়ালমারী থানায় একই গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে লাভলুকে (৩৮) একমাত্র আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে শুক্রবার রাতে ঘরে ঘুমিয়েছিল। মেয়ের কক্ষের বাইরের ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন বাবা-মা। বাবা-মা সকালে ঘুম থেকে উঠে মেয়ের কক্ষের দরজার তালা খুলে দেখতে পায় সে ঘরে নেই। কাঁচা ঘরের দক্ষিণ পাশে সিঁধ কাটা দেখে ধারণা করে দুর্বৃত্তরা এই সিঁধ দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। চাঞ্চল্যকর এ অপহরণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে।
রোববার দুপুরে ওই কিশোরীর বাবা জানান, স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রায়ই তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত ও অশালীন প্রস্তাব দিত একই গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে দুই সন্তানের জনক লাভলু শেখ। ঘটনাটি ছাত্রী তার অভিভাবকদের জানালে তারা বিষয়টি লাভলুর পরিবারকে অবহিত করেন।
তিনি জানান, এতে লাভলু আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রীসহ পরিবারকে শায়েস্তা করার জন্য হুমকি দেয়। এবার সে কেবল স্কুলে যাওয়া-আসার পথে নয়; সরাসরি বাড়ির আশপাশে অবস্থান নিতে থাকে। এমনকি বাড়িতে গিয়েও তাকে মাঝে মধ্যে উত্ত্যক্ত করত। এক পর্যায়ে গত দুই মাস আগে ওই ছাত্রী টয়লেটে গেলে তার হাত ধরে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বখাটে লাভলু। ওই সময় ভুক্তভোগী পরিবারটি সোচ্চার হয়েও মানসম্মানের ভয়ে নীরব থাকে।
এরপর গত ১৬ অক্টোবর গভীর রাতে সিঁধ কেটে ওই ছাত্রীর কক্ষে প্রবেশ করে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায় লাভলু।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. বাহাউদ্দীন বাহার বলেন, লাভলু খারাপ প্রকৃতির লোক। তার স্ত্রী বিদেশে থাকেন, সেই সুযোগে সে এমন অপকর্ম করতে পারে। এছাড়া অনেক দিন ধরেই ওই পরিবারকে হয়রানি করছে লাভলু। আমি একাধিকবার সতর্ক করলেও কোনো ফল হয়নি।
বোয়ালমারী থানার ওসি মো. আমিনুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, এজাহার পেয়েছি, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।