স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে একাধিক মাদক মামলার আসামি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
০৩ নভেম্বর ২০২০, ১৮:৩২:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
মাদক ব্যবসা থেকে চিরতরে ফিরে আসার প্রত্যয়ে গাইবান্ধার তিনটি মাদক মামলার আসামি আমিনুল ইসলাম মঙ্গলবার সদর থানা পুলিশের কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন।
আমিনুল ইসলাম সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের উত্তর আনালেরতাড়ি গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।
দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসা করে আমিনুল একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়ে পুলিশের ভয়ে গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াতে থাকেন। এমনকি জীবনযাপনের তাগিদে তিনি ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন। সেখানেও তাকে পুলিশের ভয়ে সর্বক্ষণ তটস্থ থাকতে হয়।
আমিনুল ইসলামের স্ত্রী এবং দুই মেয়ে ও তিন ছেলে গ্রামেই বসবাস করেন। এতে তিনি পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন এবং তার পরিবার-পরিজনের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করাও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ফলে তিনি মাদক ব্যবসা চিরতরে ছেড়ে দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
অবশেষে আমিনুল ইসলাম মামলা মাথায় নিয়েই গাইবান্ধা সদর থানায় দুপুরে হঠাৎ করেই ওসির কক্ষে ঢুকে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় ওসির কাছে মাদকের ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে তিনটি মাদক মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। সুতরাং তাকে এসব মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে একাধিক মাদক মামলার আসামি
মাদক ব্যবসা থেকে চিরতরে ফিরে আসার প্রত্যয়ে গাইবান্ধার তিনটি মাদক মামলার আসামি আমিনুল ইসলাম মঙ্গলবার সদর থানা পুলিশের কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন।
আমিনুল ইসলাম সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের উত্তর আনালেরতাড়ি গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।
দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসা করে আমিনুল একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়ে পুলিশের ভয়ে গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াতে থাকেন। এমনকি জীবনযাপনের তাগিদে তিনি ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন। সেখানেও তাকে পুলিশের ভয়ে সর্বক্ষণ তটস্থ থাকতে হয়।
আমিনুল ইসলামের স্ত্রী এবং দুই মেয়ে ও তিন ছেলে গ্রামেই বসবাস করেন। এতে তিনি পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন এবং তার পরিবার-পরিজনের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করাও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ফলে তিনি মাদক ব্যবসা চিরতরে ছেড়ে দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
অবশেষে আমিনুল ইসলাম মামলা মাথায় নিয়েই গাইবান্ধা সদর থানায় দুপুরে হঠাৎ করেই ওসির কক্ষে ঢুকে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় ওসির কাছে মাদকের ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে তিনটি মাদক মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। সুতরাং তাকে এসব মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়।