দানের পর গোপনে মাদ্রাসার জমি বিক্রি!
কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
০৪ নভেম্বর ২০২০, ১৯:২১:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মাদ্রাসায় জমি দান করে ২৪ বছর পরে সেই জমি অন্যের কাছে গোপনে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার হাতিয়াড়া ইবতেদায়ি মাদ্রাসার জমি একই গ্রামের মুনছুরুল হক মোল্যা প্রতিবেশীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাতিয়াড়া গ্রামের মুনছুরুল হক মোল্যা ১৯৯৩ সালে ১৩৩নং হাতিয়াড়া মৌজার এসএ ১০৪নং খতিয়ানের ১০০৩নং দাগের ৩৩ শতাংশ জমি দলিলমূলে হাতিয়াড়া ইবতেদায়ি মাদ্রাসার নামে দান করে দেন। দলিল নং-৫৩৭০। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে তথ্য গোপন করে জালিয়াতির মাধ্যমে ওই জমি একই গ্রামের বেল্লাল মোল্যা ও জরিনা বেগমের কাছে বিক্রি করে দেন। দলিল নং-২৮২০।
বেল্লাল-জরিনা দম্পতি ওই জমি কিনে সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন জমিটি হাতিয়াড়া ইবতেদায়ি মাদ্রাসার।
ক্রয় সূত্রে জমির মালিক জরিনা বেগম বলেন, জমিটি যে মাদ্রাসার সেটি মুনছুরুল হক বিক্রির সময় আমাদের বলেননি। পরে আমরা বিষয়টি লোকজনের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। তবে কোনো সমস্যা হলে অন্য জায়গা থেকে আমাদের জমি দেবেন বলে জানিয়েছে মুনছুরুল হক।
এ ব্যাপারে মুনছুরুল হক মোল্যার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি মাদ্রাসার নামে জমিটি দান করেছেন স্বীকার করে বলেন, জমিতে প্রতিষ্ঠান না থাকলে আমার জমি আমাকে ফিরিয়ে দেয়া হবে। এমন শর্তে জমি মাদ্রাসার কাছে হস্তান্তর করি। জমিতে প্রতিষ্ঠান না থাকায় জমিটি আমার নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছি। সেই মোতাবেক আমি জমিটি বিক্রি করে দিয়েছি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দানের পর গোপনে মাদ্রাসার জমি বিক্রি!
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মাদ্রাসায় জমি দান করে ২৪ বছর পরে সেই জমি অন্যের কাছে গোপনে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার হাতিয়াড়া ইবতেদায়ি মাদ্রাসার জমি একই গ্রামের মুনছুরুল হক মোল্যা প্রতিবেশীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাতিয়াড়া গ্রামের মুনছুরুল হক মোল্যা ১৯৯৩ সালে ১৩৩নং হাতিয়াড়া মৌজার এসএ ১০৪নং খতিয়ানের ১০০৩নং দাগের ৩৩ শতাংশ জমি দলিলমূলে হাতিয়াড়া ইবতেদায়ি মাদ্রাসার নামে দান করে দেন। দলিল নং-৫৩৭০। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে তথ্য গোপন করে জালিয়াতির মাধ্যমে ওই জমি একই গ্রামের বেল্লাল মোল্যা ও জরিনা বেগমের কাছে বিক্রি করে দেন। দলিল নং-২৮২০।
বেল্লাল-জরিনা দম্পতি ওই জমি কিনে সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন জমিটি হাতিয়াড়া ইবতেদায়ি মাদ্রাসার।
ক্রয় সূত্রে জমির মালিক জরিনা বেগম বলেন, জমিটি যে মাদ্রাসার সেটি মুনছুরুল হক বিক্রির সময় আমাদের বলেননি। পরে আমরা বিষয়টি লোকজনের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। তবে কোনো সমস্যা হলে অন্য জায়গা থেকে আমাদের জমি দেবেন বলে জানিয়েছে মুনছুরুল হক।
এ ব্যাপারে মুনছুরুল হক মোল্যার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি মাদ্রাসার নামে জমিটি দান করেছেন স্বীকার করে বলেন, জমিতে প্রতিষ্ঠান না থাকলে আমার জমি আমাকে ফিরিয়ে দেয়া হবে। এমন শর্তে জমি মাদ্রাসার কাছে হস্তান্তর করি। জমিতে প্রতিষ্ঠান না থাকায় জমিটি আমার নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছি। সেই মোতাবেক আমি জমিটি বিক্রি করে দিয়েছি।