মোবাইলে প্রেম-বিয়ে করে সাড়ে ৮ লাখ টাকা গচ্চা প্রবাসীর
শওকত আলী বাবু, বাগেরহাট
০৪ নভেম্বর ২০২০, ২০:৩৭:১৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোবাইল ফোনে প্রেম ও বিয়ে করে প্রবাসী লতিফ ফকিরের প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নাজির মোল্লা ও তার মেয়ে সীমার বিরুদ্ধে। টাকা হারিয়ে পাগলপ্রায় প্রবাসী লতিফ ফকির ও তার বিধবা মা হালিমা বেগম।
হয়ত টাকা ফেরত, নয়ত সীমাকে ছেলের বউ হিসেবে তার ঘরে আসার দাবি জানিয়েছেন লতিফের বৃদ্ধ মা হালিমা বেগম।
প্রতারণার শিকার কাতার প্রবাসী লতিফ ফকির বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার মৃত মো. জামিরের ছেলে।
কাতার প্রবাসী লতিফ ফকির বলেন, ২০১৭ সালের শেষের দিকে আমার খালাতো ভাইয়ের স্ত্রী আসমা বেগমের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ উপজেলার কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের খাগড়াবাড়ি গ্রামের নাজির মোল্লার মেয়ে সীমার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে আমি নিয়মিত সীমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলি। এর মাঝে বিভিন্ন কারণ-অকারণে সীমা ও তার পরিবারকে আমি কয়েক লাখ টাকা দেই।
তিনি বলেন, এক পর্যায়ে সীমার সঙ্গে আমার বিয়ের কথা হয়। সেই অনুযায়ী সীমার বাড়িতে আমার মাসহ স্থানীয় কয়েকজন আত্মীয় ও মধ্যস্থতাকারী আসমা বেগমের উপস্থিতিতে মোবাইল ফোনে আমাদের বিয়ে হয়। ওই এলাকার কাজী হেদায়েত হোসেন আমাদের বিয়ে পড়ান।
লতিফ ফকির বলেন, বিয়ের আগে ও বিয়ের পরে সব মিলিয়ে আমি আমার স্ত্রী ও শ্বশুরকে আট লাখ ৪৩ হাজার টাকা দিয়েছি। এর মধ্যে ব্যাংকের মাধ্যমে আমার শ্বশুর নাজির মোল্লার কাছে সাড়ে চার লাখ টাকা পাঠিয়েছি। বিকাশের মাধ্যমে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। আমার স্ত্রীকে মোবাইল ফোন ও আংটি বানানোর জন্য এক লাখ ৪৩ হাজার টাকা দিয়েছি।
তিনি বলেন, মোবাইল ফোনে বিয়ে হওয়ার কয়েক দিন পরই আমার স্ত্রী সীমা আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এখন সে আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে না। আমি ফোন দিলে আমাকে গালিগালাজ করে। প্রবাসে গায়ের রক্ত পানি করা টাকা আমার শ্বশুর ও স্ত্রীকে দিয়েছি। এখন সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করছে। আমি টাকা ফেরত চাই, নয়ত সীমাকে চাই।
লতিফ ফকিরের বৃদ্ধ মা হালিমা বেগম বলেন, আমরা ওই বাড়িতে গিয়ে সীমার সঙ্গে আমার ছেলে কাতার প্রবাসী লতিফ ফকিরের বিয়ে দিয়েছি। সীমা ও সীমার বাবা নাজির মোল্লাকে আমার সন্তান প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকা দিয়েছে। এখন তারা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। আমি আমার ছেলের টাকা ও ছেলের বউকে ফেরত চাই।
প্রতারণার বিষয়টি অস্বীকার করে সীমার বাবা নাজির মোল্লা বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে লতিফ ফকিরের বিয়ের কথা চলছিল। এই কথা চালাচালির সময় লতিফ আমার মেয়ের জন্য প্রায় চার ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার পাঠায়। পরবর্তীতে বিয়ে না হওয়ায় আমরা সেই স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দিয়ে দিয়েছি।
মোল্লারহাট থানার ওসি কাজী গোলাম কবির বলেন, প্রবাসী লতিফ ফকিরের মা হালিমা বেগম একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। ঘটনাটি অন্য এলাকার। তারপরও বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মোবাইলে প্রেম-বিয়ে করে সাড়ে ৮ লাখ টাকা গচ্চা প্রবাসীর
মোবাইল ফোনে প্রেম ও বিয়ে করে প্রবাসী লতিফ ফকিরের প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নাজির মোল্লা ও তার মেয়ে সীমার বিরুদ্ধে। টাকা হারিয়ে পাগলপ্রায় প্রবাসী লতিফ ফকির ও তার বিধবা মা হালিমা বেগম।
হয়ত টাকা ফেরত, নয়ত সীমাকে ছেলের বউ হিসেবে তার ঘরে আসার দাবি জানিয়েছেন লতিফের বৃদ্ধ মা হালিমা বেগম।
প্রতারণার শিকার কাতার প্রবাসী লতিফ ফকির বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার মৃত মো. জামিরের ছেলে।
কাতার প্রবাসী লতিফ ফকির বলেন, ২০১৭ সালের শেষের দিকে আমার খালাতো ভাইয়ের স্ত্রী আসমা বেগমের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ উপজেলার কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের খাগড়াবাড়ি গ্রামের নাজির মোল্লার মেয়ে সীমার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে আমি নিয়মিত সীমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলি। এর মাঝে বিভিন্ন কারণ-অকারণে সীমা ও তার পরিবারকে আমি কয়েক লাখ টাকা দেই।
তিনি বলেন, এক পর্যায়ে সীমার সঙ্গে আমার বিয়ের কথা হয়। সেই অনুযায়ী সীমার বাড়িতে আমার মাসহ স্থানীয় কয়েকজন আত্মীয় ও মধ্যস্থতাকারী আসমা বেগমের উপস্থিতিতে মোবাইল ফোনে আমাদের বিয়ে হয়। ওই এলাকার কাজী হেদায়েত হোসেন আমাদের বিয়ে পড়ান।
লতিফ ফকির বলেন, বিয়ের আগে ও বিয়ের পরে সব মিলিয়ে আমি আমার স্ত্রী ও শ্বশুরকে আট লাখ ৪৩ হাজার টাকা দিয়েছি। এর মধ্যে ব্যাংকের মাধ্যমে আমার শ্বশুর নাজির মোল্লার কাছে সাড়ে চার লাখ টাকা পাঠিয়েছি। বিকাশের মাধ্যমে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। আমার স্ত্রীকে মোবাইল ফোন ও আংটি বানানোর জন্য এক লাখ ৪৩ হাজার টাকা দিয়েছি।
তিনি বলেন, মোবাইল ফোনে বিয়ে হওয়ার কয়েক দিন পরই আমার স্ত্রী সীমা আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এখন সে আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে না। আমি ফোন দিলে আমাকে গালিগালাজ করে। প্রবাসে গায়ের রক্ত পানি করা টাকা আমার শ্বশুর ও স্ত্রীকে দিয়েছি। এখন সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করছে। আমি টাকা ফেরত চাই, নয়ত সীমাকে চাই।
লতিফ ফকিরের বৃদ্ধ মা হালিমা বেগম বলেন, আমরা ওই বাড়িতে গিয়ে সীমার সঙ্গে আমার ছেলে কাতার প্রবাসী লতিফ ফকিরের বিয়ে দিয়েছি। সীমা ও সীমার বাবা নাজির মোল্লাকে আমার সন্তান প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকা দিয়েছে। এখন তারা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। আমি আমার ছেলের টাকা ও ছেলের বউকে ফেরত চাই।
প্রতারণার বিষয়টি অস্বীকার করে সীমার বাবা নাজির মোল্লা বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে লতিফ ফকিরের বিয়ের কথা চলছিল। এই কথা চালাচালির সময় লতিফ আমার মেয়ের জন্য প্রায় চার ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার পাঠায়। পরবর্তীতে বিয়ে না হওয়ায় আমরা সেই স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দিয়ে দিয়েছি।
মোল্লারহাট থানার ওসি কাজী গোলাম কবির বলেন, প্রবাসী লতিফ ফকিরের মা হালিমা বেগম একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। ঘটনাটি অন্য এলাকার। তারপরও বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।