ছাগলে ক্ষেতের ধান খাওয়ায় কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
যশোরের চৌগাছায় ছাগলে ক্ষেতের ধান খাওয়ার জের ধরে পিকুল হোসেন (৩২) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যার পর ক্ষেতেই লাশ ধানগাছ (বিচালি) দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।
রোববার রাত ১২টার দিকে চৌগাছা উপজেলার দক্ষিণ কয়ারপাড়া গ্রামের মাঠ থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় সোমবার নিহতের পিতা সাখাওয়াত হোসেন তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণ কয়ারপাড়া গ্রামের গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে শরিফুল (২১) ও আরিফুল (১৬), খোকনের ছেলে সাদ্দাম (২৫)।
নিহতের পিতা সাখাওয়াত হোসেনের অভিযোগ, রোববার দুপুরের খাবার খেয়ে পিকুল হোসেন মাঠে নিজেদের ধানক্ষেতে যান। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে ধানক্ষেতে বিচালি দিয়ে ঢাকা পিকুলের লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
সাখাওয়াত হোসেনের দাবি, শরিফুল, আরিফুল ও সাদ্দামদের ছাগলে তাদের ক্ষেতের ধান খাওয়া নিয়ে বিরোধ ছিল। রোববার দুপুরেও তাদের সঙ্গে এ নিয়ে ঝগড়া হয়। ঘটনার আগের দিন এবং তার দুই দিন আগেও এসব নিয়ে বিবাদ হয়েছিল। এ বিরোধের জেরেই ওরা পিকুলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব জানান, বাদীর দাবি ছাগলে ধান খাওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে আসামিদের সঙ্গে ভিকটিমের বিরোধ ছিল। মারামারির ঘটনাও ঘটেছিল। সেই বিরোধের জেরে কৃষক পিকুলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। বাদীর অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখছি। হত্যাকাণ্ডের অন্য কোনো কারণ থাকলে সেটিও উদঘাটন করা হবে।
তিনি আরও জানান, নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা হত্যা মামলা করেছেন। শরিফুল ও আরিফুল নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাদ্দাম নামে অপর আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম তৎপর রয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ছাগলে ক্ষেতের ধান খাওয়ায় কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
যশোরের চৌগাছায় ছাগলে ক্ষেতের ধান খাওয়ার জের ধরে পিকুল হোসেন (৩২) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যার পর ক্ষেতেই লাশ ধানগাছ (বিচালি) দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।
রোববার রাত ১২টার দিকে চৌগাছা উপজেলার দক্ষিণ কয়ারপাড়া গ্রামের মাঠ থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় সোমবার নিহতের পিতা সাখাওয়াত হোসেন তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণ কয়ারপাড়া গ্রামের গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে শরিফুল (২১) ও আরিফুল (১৬), খোকনের ছেলে সাদ্দাম (২৫)।
নিহতের পিতা সাখাওয়াত হোসেনের অভিযোগ, রোববার দুপুরের খাবার খেয়ে পিকুল হোসেন মাঠে নিজেদের ধানক্ষেতে যান। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে ধানক্ষেতে বিচালি দিয়ে ঢাকা পিকুলের লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
সাখাওয়াত হোসেনের দাবি, শরিফুল, আরিফুল ও সাদ্দামদের ছাগলে তাদের ক্ষেতের ধান খাওয়া নিয়ে বিরোধ ছিল। রোববার দুপুরেও তাদের সঙ্গে এ নিয়ে ঝগড়া হয়। ঘটনার আগের দিন এবং তার দুই দিন আগেও এসব নিয়ে বিবাদ হয়েছিল। এ বিরোধের জেরেই ওরা পিকুলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব জানান, বাদীর দাবি ছাগলে ধান খাওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে আসামিদের সঙ্গে ভিকটিমের বিরোধ ছিল। মারামারির ঘটনাও ঘটেছিল। সেই বিরোধের জেরে কৃষক পিকুলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। বাদীর অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখছি। হত্যাকাণ্ডের অন্য কোনো কারণ থাকলে সেটিও উদঘাটন করা হবে।
তিনি আরও জানান, নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা হত্যা মামলা করেছেন। শরিফুল ও আরিফুল নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাদ্দাম নামে অপর আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম তৎপর রয়েছে।