কারাবাসের বদলে পরিবারের সঙ্গে বসবাসের সুযোগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
১১ নভেম্বর ২০২০, ১৯:৫০:৩১ | অনলাইন সংস্করণ
মাদকের মামলায় দোষী প্রমাণিত হলেও কারাগারে যেতে হচ্ছে না আসামিকে। মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া রবিউল ইসলামকে সমাজে সদাচরণের মাধ্যমে নিজেকে সংশোধনের শর্তে পরিবারের সঙ্গে বসবাসের সুযোগ দিয়েছেন আদালত।
একজন প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানের ৮টি শর্ত প্রতিপালন করে ১ বছর অতিবাহিত করতে হবে রবিউলকে। আর এই শর্ত লঙ্ঘন করলে পুনরায় তাকে যেতে হবে জেলে। বন্ড দাখিলের মাধ্যমে দণ্ডিত ব্যক্তি আদালতের নির্দেশনা পরিপালনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং নির্দেশনাসমূহ সফলভাবে পরিপালন করলেই শুধু মিলবে চূড়ান্ত মুক্তি।
বুধবার এই প্রবেশন আদেশ দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক আবদুল মালেক। প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স-১৯৬০ আইনের ৫ ধারায় এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রথম রায়।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, এ আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে অপরাধীকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনা। তাছাড়া কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত কয়েদি, কারাগারে দুর্ধর্ষ অপরাধীদের সংস্পর্শ, কারামুক্তির পর কয়েদিদের ওপর সমাজের নেতিবাচক মনোভাব ইত্যাদি বিবেচনায় কারাদণ্ডের বিকল্প প্রবেশন আদেশ একটি সময়োপযোগী ও সাশ্রয়ী ব্যবস্থা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নূর-ই-আলম সিদ্দিকি আসাদ জানান, একজন প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে রেখে রবিউল ইসলামকে প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স-১৯৬০-এর বিধান মোতাবেক পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করে কতগুলো শর্ত পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রবেশনাধীন সময়ে সৎ ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন, সদাচারণ, শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধে না জড়ানো, কোনোভাবেই মাদকের সংস্পর্শে না আসা, বর্তমান পেশায় নিয়োজিত থাকা, বাংলাদেশ ত্যাগ না করা, প্রবেশন অফিসারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ ইত্যাদি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রবেশন অফিসার আখিনুর রহমান জানান, প্রবেশনাধীন ব্যক্তি একজন দরিদ্র লোক। তিনি দীর্ঘদিন যাবত মানসিক রোগে ভুগছেন। সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসা এবং সুনাগরিক হওয়ার সুযোগ হিসেবে আদালতের এমন আদেশ প্রশংসনীয়। তাছাড়া যেহেতু কোনো মানুষই অপরাধী হয়ে জন্মায় না, তাই কেউ ভুল করে প্রথমবার লঘু প্রকৃতির অপরাধ করলে তাকে সংশোধনের সুযোগ দিতেই এ রায় দিয়েছেন আদালত।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কারাবাসের বদলে পরিবারের সঙ্গে বসবাসের সুযোগ
মাদকের মামলায় দোষী প্রমাণিত হলেও কারাগারে যেতে হচ্ছে না আসামিকে। মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া রবিউল ইসলামকে সমাজে সদাচরণের মাধ্যমে নিজেকে সংশোধনের শর্তে পরিবারের সঙ্গে বসবাসের সুযোগ দিয়েছেন আদালত।
একজন প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানের ৮টি শর্ত প্রতিপালন করে ১ বছর অতিবাহিত করতে হবে রবিউলকে। আর এই শর্ত লঙ্ঘন করলে পুনরায় তাকে যেতে হবে জেলে। বন্ড দাখিলের মাধ্যমে দণ্ডিত ব্যক্তি আদালতের নির্দেশনা পরিপালনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং নির্দেশনাসমূহ সফলভাবে পরিপালন করলেই শুধু মিলবে চূড়ান্ত মুক্তি।
বুধবার এই প্রবেশন আদেশ দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক আবদুল মালেক। প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স-১৯৬০ আইনের ৫ ধারায় এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রথম রায়।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, এ আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে অপরাধীকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনা। তাছাড়া কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত কয়েদি, কারাগারে দুর্ধর্ষ অপরাধীদের সংস্পর্শ, কারামুক্তির পর কয়েদিদের ওপর সমাজের নেতিবাচক মনোভাব ইত্যাদি বিবেচনায় কারাদণ্ডের বিকল্প প্রবেশন আদেশ একটি সময়োপযোগী ও সাশ্রয়ী ব্যবস্থা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নূর-ই-আলম সিদ্দিকি আসাদ জানান, একজন প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে রেখে রবিউল ইসলামকে প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স-১৯৬০-এর বিধান মোতাবেক পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করে কতগুলো শর্ত পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রবেশনাধীন সময়ে সৎ ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন, সদাচারণ, শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধে না জড়ানো, কোনোভাবেই মাদকের সংস্পর্শে না আসা, বর্তমান পেশায় নিয়োজিত থাকা, বাংলাদেশ ত্যাগ না করা, প্রবেশন অফিসারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ ইত্যাদি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রবেশন অফিসার আখিনুর রহমান জানান, প্রবেশনাধীন ব্যক্তি একজন দরিদ্র লোক। তিনি দীর্ঘদিন যাবত মানসিক রোগে ভুগছেন। সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসা এবং সুনাগরিক হওয়ার সুযোগ হিসেবে আদালতের এমন আদেশ প্রশংসনীয়। তাছাড়া যেহেতু কোনো মানুষই অপরাধী হয়ে জন্মায় না, তাই কেউ ভুল করে প্রথমবার লঘু প্রকৃতির অপরাধ করলে তাকে সংশোধনের সুযোগ দিতেই এ রায় দিয়েছেন আদালত।