গর্ভের সন্তান নষ্ট না করায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
১৬ নভেম্বর ২০২০, ২১:২২:১৬ | অনলাইন সংস্করণ
নওগাঁর পত্নীতলায় গর্ভের সন্তান নষ্ট না করায় হালিমা (২১) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার সকালে উপজেলার মাটিন্দর ইউনিয়নের দক্ষিণ রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামী হাফিজুর ও শাশুড়ি হাজেরা খাতুনকে গ্রেফতার করে।
সন্ধ্যায় নিহত গৃহবধূর বাবা হারুন রশিদ বাদী হয়ে হালিমার স্বামী, শাশুড়িসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
থানার এজাহার ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বছরখানেক আগে মহাদেবপুর উপজেলার চকচকি গ্রামের হারুন রশিদের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় পত্নীতলা উপজেলার দক্ষিণ রামপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে হাফিজুরের।
কয়েক দিন আগে থেকেই স্বামী হাফিজুর ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রায় ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হালিমার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার জন্য চাপপ্রয়োগ করে আসছিল। সোমবার সকালে তারা পুনরায় হালিমার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার জন্য চাপপ্রয়োগ করলে বরাবরের মতোই গৃহবধূ গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে অস্বীকৃতি জানান।
এতে স্বামী, শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে নির্যাতন করে এবং একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে সোমবার বিকালে পুলিশ নিহত হালিমার স্বামী হাফিজুর ও শাশুড়ি হাজেরাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার ওসি শামসুল আলম শাহ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
গর্ভের সন্তান নষ্ট না করায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
নওগাঁর পত্নীতলায় গর্ভের সন্তান নষ্ট না করায় হালিমা (২১) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার সকালে উপজেলার মাটিন্দর ইউনিয়নের দক্ষিণ রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামী হাফিজুর ও শাশুড়ি হাজেরা খাতুনকে গ্রেফতার করে।
সন্ধ্যায় নিহত গৃহবধূর বাবা হারুন রশিদ বাদী হয়ে হালিমার স্বামী, শাশুড়িসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
থানার এজাহার ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বছরখানেক আগে মহাদেবপুর উপজেলার চকচকি গ্রামের হারুন রশিদের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় পত্নীতলা উপজেলার দক্ষিণ রামপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে হাফিজুরের।
কয়েক দিন আগে থেকেই স্বামী হাফিজুর ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রায় ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হালিমার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার জন্য চাপপ্রয়োগ করে আসছিল। সোমবার সকালে তারা পুনরায় হালিমার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার জন্য চাপপ্রয়োগ করলে বরাবরের মতোই গৃহবধূ গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে অস্বীকৃতি জানান।
এতে স্বামী, শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে নির্যাতন করে এবং একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে সোমবার বিকালে পুলিশ নিহত হালিমার স্বামী হাফিজুর ও শাশুড়ি হাজেরাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার ওসি শামসুল আলম শাহ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।