জমি নিয়ে বিরোধে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
১৬ নভেম্বর ২০২০, ২১:২৩:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধে হাবিবুর রহমান ভিক্ষু মিয়া (৪৮) নামে আসন্ন ইউপি নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় সিংরইল ইউনিয়নের কোনাডাংগর গ্রামের সুরুজ আলী নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করে রোববার ময়মনসিংহ জেলহাজতে প্রেরণ করেছে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ।
নিহত ভিক্ষু মিয়া সিংরইল ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত-আব্দুল জব্বার ভূঁইয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৯ নভেম্বর রাতে সিংরইল বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভিক্ষু মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় তিনি রক্তাক্ত জখমসহ গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থা গুরুতর থাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে ভিক্ষু মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে সিংরইল ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের মতিউর রহমান মতি, সবুজ মিয়া, কুড়েরপাড় গ্রামের শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সামায়ন কবির, কোনাডাংগর গ্রামের ইসহাক মিয়া, সুরুজ আলী, ইসরাঈল, ফজলু মিয়াসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে নান্দাইল মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
নিহতের ছোটভাই কবির উদ্দিন বলেন, উদলার বাজারে আমার বাবার রেকর্ডভুক্ত ৭০ শতাংশ জমি রয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা আমাদের দখলীয় জায়গা মেপে বুঝিয়ে দেয়ার পরেও এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি আমাদের ওপর বিভিন্ন সময় হামলা ও নির্যাতন করে আসছে।
এ নিয়ে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। আমার ভাই একজন সমাজসেবক ছিলেন এবং তিনি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। আমরা ভাইয়ের হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ প্রকৃত অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সুরুজ আলী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতোপূর্বে নিহতের ভাই বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ দিয়ে একটি মামলা করেছে। এখন মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
জমি নিয়ে বিরোধে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধে হাবিবুর রহমান ভিক্ষু মিয়া (৪৮) নামে আসন্ন ইউপি নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় সিংরইল ইউনিয়নের কোনাডাংগর গ্রামের সুরুজ আলী নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করে রোববার ময়মনসিংহ জেলহাজতে প্রেরণ করেছে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ।
নিহত ভিক্ষু মিয়া সিংরইল ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত-আব্দুল জব্বার ভূঁইয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৯ নভেম্বর রাতে সিংরইল বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভিক্ষু মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় তিনি রক্তাক্ত জখমসহ গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থা গুরুতর থাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে ভিক্ষু মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে সিংরইল ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের মতিউর রহমান মতি, সবুজ মিয়া, কুড়েরপাড় গ্রামের শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সামায়ন কবির, কোনাডাংগর গ্রামের ইসহাক মিয়া, সুরুজ আলী, ইসরাঈল, ফজলু মিয়াসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে নান্দাইল মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
নিহতের ছোটভাই কবির উদ্দিন বলেন, উদলার বাজারে আমার বাবার রেকর্ডভুক্ত ৭০ শতাংশ জমি রয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা আমাদের দখলীয় জায়গা মেপে বুঝিয়ে দেয়ার পরেও এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি আমাদের ওপর বিভিন্ন সময় হামলা ও নির্যাতন করে আসছে।
এ নিয়ে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। আমার ভাই একজন সমাজসেবক ছিলেন এবং তিনি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। আমরা ভাইয়ের হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ প্রকৃত অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সুরুজ আলী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতোপূর্বে নিহতের ভাই বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ দিয়ে একটি মামলা করেছে। এখন মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে।