ঘাটাইলে মাসিক সভা বর্জন করলেন ১২ চেয়ারম্যান
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
১৯ নভেম্বর ২০২০, ২২:৪৬:২৫ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মাসিক সমন্বয় সভা বর্জন করেছেন উপজেলা পরিষদের দুই ভাইস চেয়ারম্যান ও ১০ ইউপি চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সভা বর্জন করে তারা একযোগে বেরিয়ে যান। পরে তারা বিক্ষোভ করেন।
সভা বর্জনকারীদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আরজু ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা সুলতানাও রয়েছেন। পরে তারা উপজেলা পরিষদের চেতনায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আরজুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা সুলতানা শিল্পী, দিগড় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মামুন প্রমুখ।
বক্তারা লাঞ্ছনাকারীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিচারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। অন্যথায় ইউনিয়ন পরিষদের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দিগলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, ধলাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু ভূঁইয়া, আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মো. শাহজাহান, দেওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাইন উদ্দিন তারু, জামুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইখলাক হোসেন খান, ঘাটাইল ইউপি চেয়ারম্যান হায়দর আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ৯ নভেম্বর আইনশৃঙ্খলা সভায় যোগ দিতে এসে ইউএনও অফিসের নিচতলায় আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মো. শাহজাহানকে লাঞ্ছিত হন। এ ঘটনায় আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান বাদী হয়ে ১০ নভেম্বর ঘাটাইল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন- চান্দসী গ্রামের আবু সাইদ রুবেল, জহুরুল ইসলাম (জিএম) এবং রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম।
এ ঘটনার বিচারের দাবিতে ইউএনওর কাছে ১২ চেয়ারম্যান যৌথ স্বাক্ষর দিয়ে স্মারকলিপি পেশ করেন।
জানতে চাইলে ইউএনও অঞ্জন কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চেয়ারম্যানদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তারা সমন্বয় সভা থেকে বেরিয়ে যান। তবে খুব তাড়াতাড়িই এর একটা ব্যবস্থা হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লেবু বলেন, চেয়ারম্যানের সঙ্গে কলেজের ভিপি আবু সাইদ রুবেলের বাকবিতণ্ডা হয়। এ ব্যাপারে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তবে এ ঘটনাটি নিন্দাজনক। আমিও চাই দোষীদের বিচার হোক।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ঘাটাইলে মাসিক সভা বর্জন করলেন ১২ চেয়ারম্যান
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মাসিক সমন্বয় সভা বর্জন করেছেন উপজেলা পরিষদের দুই ভাইস চেয়ারম্যান ও ১০ ইউপি চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সভা বর্জন করে তারা একযোগে বেরিয়ে যান। পরে তারা বিক্ষোভ করেন।
সভা বর্জনকারীদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আরজু ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা সুলতানাও রয়েছেন। পরে তারা উপজেলা পরিষদের চেতনায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আরজুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা সুলতানা শিল্পী, দিগড় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মামুন প্রমুখ।
বক্তারা লাঞ্ছনাকারীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিচারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। অন্যথায় ইউনিয়ন পরিষদের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দিগলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, ধলাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু ভূঁইয়া, আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মো. শাহজাহান, দেওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাইন উদ্দিন তারু, জামুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইখলাক হোসেন খান, ঘাটাইল ইউপি চেয়ারম্যান হায়দর আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ৯ নভেম্বর আইনশৃঙ্খলা সভায় যোগ দিতে এসে ইউএনও অফিসের নিচতলায় আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মো. শাহজাহানকে লাঞ্ছিত হন। এ ঘটনায় আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান বাদী হয়ে ১০ নভেম্বর ঘাটাইল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন- চান্দসী গ্রামের আবু সাইদ রুবেল, জহুরুল ইসলাম (জিএম) এবং রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম।
এ ঘটনার বিচারের দাবিতে ইউএনওর কাছে ১২ চেয়ারম্যান যৌথ স্বাক্ষর দিয়ে স্মারকলিপি পেশ করেন।
জানতে চাইলে ইউএনও অঞ্জন কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চেয়ারম্যানদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তারা সমন্বয় সভা থেকে বেরিয়ে যান। তবে খুব তাড়াতাড়িই এর একটা ব্যবস্থা হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লেবু বলেন, চেয়ারম্যানের সঙ্গে কলেজের ভিপি আবু সাইদ রুবেলের বাকবিতণ্ডা হয়। এ ব্যাপারে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তবে এ ঘটনাটি নিন্দাজনক। আমিও চাই দোষীদের বিচার হোক।