ধর্ষণচেষ্টার সময় ইমামকে হত্যা, নারীর যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
২২ নভেম্বর ২০২০, ১৯:১৩:২১ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ধর্ষণচেষ্টার সময় মসজিদের ইমাম মিজানুর রহমান হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় ময়না আক্তার নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ময়নার ভাইকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেককে জরিমানাও করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় ময়নাকে যাবজ্জীবনসহ দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার ভাই মনির হোসেনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই পূর্ব বরাটি গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর এলাকায় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট রাত ৩টার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর এলাকায় বাজরা-চৌমুড়ি পাকা রাস্তার পাশ থেকে হাফেজ মিজানুর রহমান মিজান নামে ওই ইমামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ভাই মো. নূরুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ কোনাপাড়া গ্রামের প্রবাসী নজরুল ইসলামের স্ত্রী ময়না আক্তার ও তার ভাই মনির হোসেনকে আটক করে।
২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল এই দুজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কোহিনূর মিয়া।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন গভীর রাতে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী ময়নাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান ইমাম মিজানুর রহমান মিজান। এ সময় ময়না তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় ইমামের লাশ বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যান।
সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট যজ্ঞেশ্বর চৌধুরী এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল কুদ্দুস।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ধর্ষণচেষ্টার সময় ইমামকে হত্যা, নারীর যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ধর্ষণচেষ্টার সময় মসজিদের ইমাম মিজানুর রহমান হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় ময়না আক্তার নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ময়নার ভাইকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেককে জরিমানাও করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় ময়নাকে যাবজ্জীবনসহ দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার ভাই মনির হোসেনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই পূর্ব বরাটি গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর এলাকায় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট রাত ৩টার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর এলাকায় বাজরা-চৌমুড়ি পাকা রাস্তার পাশ থেকে হাফেজ মিজানুর রহমান মিজান নামে ওই ইমামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ভাই মো. নূরুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ কোনাপাড়া গ্রামের প্রবাসী নজরুল ইসলামের স্ত্রী ময়না আক্তার ও তার ভাই মনির হোসেনকে আটক করে।
২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল এই দুজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কোহিনূর মিয়া।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন গভীর রাতে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী ময়নাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান ইমাম মিজানুর রহমান মিজান। এ সময় ময়না তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় ইমামের লাশ বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যান।
সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট যজ্ঞেশ্বর চৌধুরী এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল কুদ্দুস।