রাজশাহী চিনিকল আখ ক্রয় না করায় হতাশ চাষীরা
আমানুল হক আমান, বাঘা (রাজশাহী)
২৩ নভেম্বর ২০২০, ১৮:৩৩:২৭ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী চিনিকল আখ ক্রয় না করায় চাষীরা হতাশায় হয়ে পড়েছেন। আখ ক্রয় করা কবে চালু হবে, রোববার পর্যন্ত দিন নির্ধারণ হয়নি। এই চিনি কলের অধীনে ৫২টি আখ ক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে বাঘা উপজেলায় রয়েছে আটটি আখ ক্রয় কেন্দ্র।
জানা যায়, ২০১৮-১৯ মৌসুমে ১৭ নভেম্বর আখ ক্রয় শুরু হয়েছিল। ২০১৯-২০ মৌসুমে ২১ নভেম্বর। চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে এখনও আখ ক্রয় শুরু হয়নি। ফলে এ মৌসুমে আখ ক্রয় শুরু না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা।
এই চিনিকলের আওতায় চাষীরা সার, কীটনাশক, আখের বীজ ঋণ নিয়ে আখ চাষ করেন। চিনি কলের অধীনে ঋণী আখচাষী রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার। চাষীরা ঋণ নিয়ে আখের আবাদ করেন। চলতি মৌসুমকে কেন্দ্র করে চাষীদের মাঝে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। ২০১৯-২০ মৌসুমে এক লাখ ২৯ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই হয়েছিল। তবে চলতি মৌসুম আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন।
রাজশাহী চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, এই চিনি কলের অধীনে প্রায় ১৮ হাজার চাষীর জমিতে আখ রয়েছে। বিগত এ সময়ে চিনিকলে আখ ক্রয় শুরু করলেও এ বছর এখনও আখ ক্রয়ের দিন নির্ধারণ হয়নি।
আড়ানী চকরপাড়া গ্রামের আখচাষী খেতাব উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময় আখ ক্রয় শুরু হয়। কিন্তু এ বছর এখন পর্যন্ত আখ ক্রয়ের বিষয়ে চাষীদের কিছু জানানো হয়নি। সময়মতো আখ ক্রয় না করলে আখের ডগায় ফুল হয়ে যায়। ফলে আখের ওজন কমে যায়। এছাড়া আখের জমিতে সাথী ফসলও করা সম্ভব হয় না। আমার ৩ বিঘা জমিতে মুড়ি আখ রয়েছে। এদিকে আমার ঋণও রয়েছে। আখ বিক্রি করে চৈতালী আবার করার সময়ও পার হতে চলেছে। কবে আখ বিক্রি করব, আর কবে চৈতালী আবার করব, এ নিয়ে চিন্তার মধ্যে পড়েছি।
রাজশাহী চিনিকলের আড়ানী আখ ক্রয় কেন্দ্রের সিআইসি বশির উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা না আসায় আখ ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রাজশাহী চিনিকল আখ ক্রয় না করায় হতাশ চাষীরা
রাজশাহী চিনিকল আখ ক্রয় না করায় চাষীরা হতাশায় হয়ে পড়েছেন। আখ ক্রয় করা কবে চালু হবে, রোববার পর্যন্ত দিন নির্ধারণ হয়নি। এই চিনি কলের অধীনে ৫২টি আখ ক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে বাঘা উপজেলায় রয়েছে আটটি আখ ক্রয় কেন্দ্র।
জানা যায়, ২০১৮-১৯ মৌসুমে ১৭ নভেম্বর আখ ক্রয় শুরু হয়েছিল। ২০১৯-২০ মৌসুমে ২১ নভেম্বর। চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে এখনও আখ ক্রয় শুরু হয়নি। ফলে এ মৌসুমে আখ ক্রয় শুরু না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা।
এই চিনিকলের আওতায় চাষীরা সার, কীটনাশক, আখের বীজ ঋণ নিয়ে আখ চাষ করেন। চিনি কলের অধীনে ঋণী আখচাষী রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার। চাষীরা ঋণ নিয়ে আখের আবাদ করেন। চলতি মৌসুমকে কেন্দ্র করে চাষীদের মাঝে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। ২০১৯-২০ মৌসুমে এক লাখ ২৯ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই হয়েছিল। তবে চলতি মৌসুম আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন।
রাজশাহী চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, এই চিনি কলের অধীনে প্রায় ১৮ হাজার চাষীর জমিতে আখ রয়েছে। বিগত এ সময়ে চিনিকলে আখ ক্রয় শুরু করলেও এ বছর এখনও আখ ক্রয়ের দিন নির্ধারণ হয়নি।
আড়ানী চকরপাড়া গ্রামের আখচাষী খেতাব উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময় আখ ক্রয় শুরু হয়। কিন্তু এ বছর এখন পর্যন্ত আখ ক্রয়ের বিষয়ে চাষীদের কিছু জানানো হয়নি। সময়মতো আখ ক্রয় না করলে আখের ডগায় ফুল হয়ে যায়। ফলে আখের ওজন কমে যায়। এছাড়া আখের জমিতে সাথী ফসলও করা সম্ভব হয় না। আমার ৩ বিঘা জমিতে মুড়ি আখ রয়েছে। এদিকে আমার ঋণও রয়েছে। আখ বিক্রি করে চৈতালী আবার করার সময়ও পার হতে চলেছে। কবে আখ বিক্রি করব, আর কবে চৈতালী আবার করব, এ নিয়ে চিন্তার মধ্যে পড়েছি।
রাজশাহী চিনিকলের আড়ানী আখ ক্রয় কেন্দ্রের সিআইসি বশির উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা না আসায় আখ ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না।