আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে ফের আত্মগোপনে টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
২৩ নভেম্বর ২০২০, ২৩:০৬:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি ছয় বছর ধরে আত্মগোপনে।
সোমবার সকালে হঠাৎ আত্মসমর্পণ করতে আদালতে আসেন কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি বিচারিক আদালতে হাজির হননি। তাই তিনি আত্মসমর্পণ না করে আবার আত্মগোপনে চলে যান।
এদিকে সহিদুর রহমানসহ এ হত্যা মামলার পলাতক সব আসামি গ্রেফতারের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন আওয়ামী লীগের ‘খান পরিবার’বিরোধী অংশের নেতারা।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সহিদুর রহমান তার বাবা সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান ও ভাই সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে সঙ্গে নিয়ে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় তারা আদালত কক্ষের ভেতর অবস্থান নিয়ে আত্মসমর্পণের কাগজপত্র তৈরি করার সময় জানতে পারেন অসুস্থতার কারণে বিচারক সিকান্দার জুলকান নাইম আদালতে আসবেন না। পরে আত্মসমর্পণ না করে তিনি কিছুক্ষণ পর আদালত এলাকা ত্যাগ করেন।
এদিকে সহিদুর রহমান মুক্তির আদালতে আসা এবং চলে যাওয়ার খবরে আওয়ামী লীগে তাদের বিরোধী অংশের নেতাকর্মীরা দুপুর ১২টার দিকে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
এতে বক্তব্য রাখেন- শহর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনি, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন, শহর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমান লিটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান খান বিপ্লব, শহর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মানিক সিকদার প্রমুখ।
বক্তারা সহিদুর রহমান খান মুক্তিসহ ফারুক হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, শুনেছি হঠাৎ করে আদালতে আত্মসমর্পণের উদ্দেশে ফারুক হত্যা মামলার আসামি সহিদুর রহমান খান এসেছিলেন। খবর পেয়ে আদালত এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ যায় কিন্তু তার আগেই তিনি চলে যাওয়ায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে ফের আত্মগোপনে টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি ছয় বছর ধরে আত্মগোপনে।
সোমবার সকালে হঠাৎ আত্মসমর্পণ করতে আদালতে আসেন কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি বিচারিক আদালতে হাজির হননি। তাই তিনি আত্মসমর্পণ না করে আবার আত্মগোপনে চলে যান।
এদিকে সহিদুর রহমানসহ এ হত্যা মামলার পলাতক সব আসামি গ্রেফতারের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন আওয়ামী লীগের ‘খান পরিবার’বিরোধী অংশের নেতারা।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সহিদুর রহমান তার বাবা সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান ও ভাই সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে সঙ্গে নিয়ে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় তারা আদালত কক্ষের ভেতর অবস্থান নিয়ে আত্মসমর্পণের কাগজপত্র তৈরি করার সময় জানতে পারেন অসুস্থতার কারণে বিচারক সিকান্দার জুলকান নাইম আদালতে আসবেন না। পরে আত্মসমর্পণ না করে তিনি কিছুক্ষণ পর আদালত এলাকা ত্যাগ করেন।
এদিকে সহিদুর রহমান মুক্তির আদালতে আসা এবং চলে যাওয়ার খবরে আওয়ামী লীগে তাদের বিরোধী অংশের নেতাকর্মীরা দুপুর ১২টার দিকে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
এতে বক্তব্য রাখেন- শহর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনি, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন, শহর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমান লিটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান খান বিপ্লব, শহর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মানিক সিকদার প্রমুখ।
বক্তারা সহিদুর রহমান খান মুক্তিসহ ফারুক হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, শুনেছি হঠাৎ করে আদালতে আত্মসমর্পণের উদ্দেশে ফারুক হত্যা মামলার আসামি সহিদুর রহমান খান এসেছিলেন। খবর পেয়ে আদালত এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ যায় কিন্তু তার আগেই তিনি চলে যাওয়ায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।