স্ত্রীর আত্মহত্যা প্ররোচনায় বখাটে স্বামী গ্রেফতার
ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৪ নভেম্বর ২০২০, ২২:৪৩:৫২ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গার্মেন্টস কর্মী স্ত্রী আত্মহত্যা প্ররোচনায় বখাটে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ফতুল্লার ভোলাইল মরা খালপাড় সংলগ্ন নুর ইসলামের ভাড়াবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সোহাগ হোসেন (২৪) ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল থানার হাসেম মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার সকালে আত্মহননকারী জেসমিন আক্তার তামান্নার (২২) বড় বোন বাদী হয়ে সোহাগের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, চাঁদপুর জেলার আলগী বাজার থানার ছোট লক্ষ্মীপুর গ্রামের শাহজাহানের মেয়ে জেসমিন আক্তার তামান্নাকে পাঁচ বছর পূর্বে প্রেম করে বিয়ে করে সোহাগ। এরপর তাদের সংসারে ৩ বছর পূর্বে রাব্বি নামে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকেই রাব্বিকে তামান্না তার মায়ের কাছে রেখে ফতুল্লায় চলে আসে।
এরপর তামান্না গার্মেন্টসে কাজ করে যে টাকা উপার্জন করতেন সেই টাকায় তাদের স্বামী স্ত্রী সংসার চলতো। সোহাগ বখাটের মত ঘুরে ফিরে চলতো। কোনো কাজকর্ম করতো না। উল্টো বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতো। এতে মানুষিক নির্যাতনে তামান্না ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ওই মামলায় সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
স্ত্রীর আত্মহত্যা প্ররোচনায় বখাটে স্বামী গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গার্মেন্টস কর্মী স্ত্রী আত্মহত্যা প্ররোচনায় বখাটে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ফতুল্লার ভোলাইল মরা খালপাড় সংলগ্ন নুর ইসলামের ভাড়াবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সোহাগ হোসেন (২৪) ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল থানার হাসেম মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার সকালে আত্মহননকারী জেসমিন আক্তার তামান্নার (২২) বড় বোন বাদী হয়ে সোহাগের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, চাঁদপুর জেলার আলগী বাজার থানার ছোট লক্ষ্মীপুর গ্রামের শাহজাহানের মেয়ে জেসমিন আক্তার তামান্নাকে পাঁচ বছর পূর্বে প্রেম করে বিয়ে করে সোহাগ। এরপর তাদের সংসারে ৩ বছর পূর্বে রাব্বি নামে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকেই রাব্বিকে তামান্না তার মায়ের কাছে রেখে ফতুল্লায় চলে আসে।
এরপর তামান্না গার্মেন্টসে কাজ করে যে টাকা উপার্জন করতেন সেই টাকায় তাদের স্বামী স্ত্রী সংসার চলতো। সোহাগ বখাটের মত ঘুরে ফিরে চলতো। কোনো কাজকর্ম করতো না। উল্টো বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতো। এতে মানুষিক নির্যাতনে তামান্না ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ওই মামলায় সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়েছে।