‘আমন চাষ জুয়া খেলার মতো’
আমন ধানের আবাদ জুয়া খেলার মতো বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক কোনো ধরনের দুর্যোগ না হলে কৃষকরা আমন আবাদে লাভবান হন। এবারের বন্যায় আমনের যে ক্ষতির কথা বলা হয়েছে তেমন ক্ষতি হয়নি। এছাড়া আম্পান দুর্যোগেও ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি।
বুধবার বিকাল ৪টায় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমন সংগ্রহ ২০২০-২১ উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার রেশন ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং দুর্যোগকালীনের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে। কৃষকরা যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পায় সরকার সেই চেষ্টা করছে। যেসব মিলারদের লাইসেন্স নাই তারাও ধান কিনে মজুদ করে রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। আমরা কৃত্রিম সংকট তৈরিকে বরদাশত করব না। এ অপকৌশলকে বিতাড়িত করতে হবে।
তিনি বলেন, সারা দেশে প্রতি বছর আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। গত ৭ নভেম্বর আমন সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। ১৫ নভেম্বর চুক্তির শেষ সময় থাকলেও পরে মিল মালিকদের অনুরোধে ২৫ নভেম্বর ধার্য করা হয়।
চালকল মালিকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কোন মিল মালিকের ধান উৎপাদনের ব্যবস্থা নাই, যে ধান ক্রয় করে আপনারা সারা বছর মিল চালান তা সরকারের ভর্তুকি দেয়া। সরকার সার ও সেচে ভর্তুকি দিয়েছে। সরকারে কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে ঋণ করে চালকল চালু করেছেন। সরকারের কাছ থেকে যেহেতু সুবিধা নিয়েছেন চাল দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করেন।
বোরোতে যারা সরকারকে চাল দিয়ে সহযোগিতা করছেন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান খাদ্যমন্ত্রী।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম, মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, নওগাঁ ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘আমন চাষ জুয়া খেলার মতো’
আমন ধানের আবাদ জুয়া খেলার মতো বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক কোনো ধরনের দুর্যোগ না হলে কৃষকরা আমন আবাদে লাভবান হন। এবারের বন্যায় আমনের যে ক্ষতির কথা বলা হয়েছে তেমন ক্ষতি হয়নি। এছাড়া আম্পান দুর্যোগেও ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি।
বুধবার বিকাল ৪টায় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমন সংগ্রহ ২০২০-২১ উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার রেশন ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং দুর্যোগকালীনের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে। কৃষকরা যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পায় সরকার সেই চেষ্টা করছে। যেসব মিলারদের লাইসেন্স নাই তারাও ধান কিনে মজুদ করে রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। আমরা কৃত্রিম সংকট তৈরিকে বরদাশত করব না। এ অপকৌশলকে বিতাড়িত করতে হবে।
তিনি বলেন, সারা দেশে প্রতি বছর আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। গত ৭ নভেম্বর আমন সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। ১৫ নভেম্বর চুক্তির শেষ সময় থাকলেও পরে মিল মালিকদের অনুরোধে ২৫ নভেম্বর ধার্য করা হয়।
চালকল মালিকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কোন মিল মালিকের ধান উৎপাদনের ব্যবস্থা নাই, যে ধান ক্রয় করে আপনারা সারা বছর মিল চালান তা সরকারের ভর্তুকি দেয়া। সরকার সার ও সেচে ভর্তুকি দিয়েছে। সরকারে কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে ঋণ করে চালকল চালু করেছেন। সরকারের কাছ থেকে যেহেতু সুবিধা নিয়েছেন চাল দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করেন।
বোরোতে যারা সরকারকে চাল দিয়ে সহযোগিতা করছেন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান খাদ্যমন্ত্রী।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম, মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, নওগাঁ ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।