প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকে বক্তব্য দিলেন না চিকিৎসকরা!
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
২৮ নভেম্বর ২০২০, ১৪:২৬:২৫ | অনলাইন সংস্করণ
করোনা মহামারীকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা হোটেলে না থেকেও ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে টাকা তুলে নেয়ার ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেও কেউ বক্তব্য দেননি।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় হাসপাতাল চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীমা শিরিন।
সমাবেশে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত থাকলেও শামীমা শিরিনকে দেখা যায়নি। সমাবেশ চলাকালে তিনি নিজ অফিসেই অবস্থান করছিলেন।
সমাবেশে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. সুলতান আহমেদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বক্তব্য শেষ করেন।
এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা করোনাকালে যেসব ‘চিকিৎসক-নার্স হোটেলে অবস্থান করেছেন’ এমন কাউকে বক্তব্য দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন
করেন।
এরপর হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু ‘হোটেলে অবস্থান করেছেন’ এমন কেউ বক্তব্য দিতে আসেননি। এরপর দীর্ঘক্ষণ সাংবাদিকরা দাঁড়িয়ে থাকলেও চিকিৎসকরা সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন।
গত ২৭ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তরে ‘করোনায় হোটেলে না থেকেও ডাক্তারদের বিল ৫৭৬০০ টাকা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এরপর কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীমা শিরিন স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ সমাবেশের একটি চিঠি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, আমি শুনেছি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। প্রতিবাদ সমাবেশের বিষয়টি আমি জানি না। তবে কালীগঞ্জ হাসপাতালে করোনাকালীন তিন লাখ টাকা নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সে ঘটনায় তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত করোনাকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা হোটেলে না থেকেও ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে ৫৭ হাজার ৬০০ টাকা এবং খাওয়া বাবদ ৯৬ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।
করোনা প্রণোদনার ৩ লাখ টাকা হরিলুট হওয়ায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে হইচই পড়ে যায়। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন এ টাকা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। তবে এ তথ্য অস্বীকার করে তিনি বলেন, সঠিক ভাবেই প্রণোদনার অর্থ ব্যয় করেছেন।
জানা গেছে, ৫ জুলাই ডা. শামীমা শিরিন স্বাক্ষরিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জুনের ৬ তারিখ থেকে ৬ চিকিৎসক, ৬ নার্স ও অন্যান্য ১২ স্টাফকে কালীগঞ্জের রহমানিয়া আবাসিক হোটেলে থাকা বাবদ ৫৭ হাজার ৬০০ এবং খাওয়া বাবদ ৯৬ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বাবদ ৬৬ হাজার টাকা খরচের কথা বলা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকে বক্তব্য দিলেন না চিকিৎসকরা!
করোনা মহামারীকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা হোটেলে না থেকেও ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে টাকা তুলে নেয়ার ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেও কেউ বক্তব্য দেননি।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় হাসপাতাল চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীমা শিরিন।
সমাবেশে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত থাকলেও শামীমা শিরিনকে দেখা যায়নি। সমাবেশ চলাকালে তিনি নিজ অফিসেই অবস্থান করছিলেন।
সমাবেশে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. সুলতান আহমেদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বক্তব্য শেষ করেন।
এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা করোনাকালে যেসব ‘চিকিৎসক-নার্স হোটেলে অবস্থান করেছেন’ এমন কাউকে বক্তব্য দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন
করেন।
এরপর হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু ‘হোটেলে অবস্থান করেছেন’ এমন কেউ বক্তব্য দিতে আসেননি। এরপর দীর্ঘক্ষণ সাংবাদিকরা দাঁড়িয়ে থাকলেও চিকিৎসকরা সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন।
গত ২৭ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তরে ‘করোনায় হোটেলে না থেকেও ডাক্তারদের বিল ৫৭৬০০ টাকা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এরপর কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীমা শিরিন স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ সমাবেশের একটি চিঠি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, আমি শুনেছি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। প্রতিবাদ সমাবেশের বিষয়টি আমি জানি না। তবে কালীগঞ্জ হাসপাতালে করোনাকালীন তিন লাখ টাকা নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সে ঘটনায় তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত করোনাকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা হোটেলে না থেকেও ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে ৫৭ হাজার ৬০০ টাকা এবং খাওয়া বাবদ ৯৬ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।
করোনা প্রণোদনার ৩ লাখ টাকা হরিলুট হওয়ায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে হইচই পড়ে যায়। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন এ টাকা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। তবে এ তথ্য অস্বীকার করে তিনি বলেন, সঠিক ভাবেই প্রণোদনার অর্থ ব্যয় করেছেন।
জানা গেছে, ৫ জুলাই ডা. শামীমা শিরিন স্বাক্ষরিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জুনের ৬ তারিখ থেকে ৬ চিকিৎসক, ৬ নার্স ও অন্যান্য ১২ স্টাফকে কালীগঞ্জের রহমানিয়া আবাসিক হোটেলে থাকা বাবদ ৫৭ হাজার ৬০০ এবং খাওয়া বাবদ ৯৬ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বাবদ ৬৬ হাজার টাকা খরচের কথা বলা হয়।