শিশু সোয়াইব হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, সন্তুষ্ট নয় বাদী
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
৩০ নভেম্বর ২০২০, ২০:৩২:১৮ | অনলাইন সংস্করণ
সাত বছর পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলেরগাঁও গ্রামের ৫ বছরের শিশু সোয়াইব হত্যা মামলার রায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং বাকি চারজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তবে এ রায়ে সন্তুষ্ট নয় বাদীপক্ষ।
সোমবার নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানা এ আদেশ দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হল- জসিম উদ্দিন, রাজু মিয়া ও ফজল হক। ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম নাছির উদ্দিন। বাকি খালাসপ্রাপ্তরা হল- রিনা, মোশরফ হোসেন, আ. রহিম ও আবদুস সালাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সোনারগাঁ উপজেলার মঙ্গলেরগাঁও এলাকায় শান্তিনগর দারুননাজাত নূরানি মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র সোয়াইব হোসেন নিখোঁজ হয়। ঘটনার ছয় দিন পর ওই এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাশ থেকে সোয়াইব হোসেনের গলাকাটা ও শরীর ঝলসে দেওয়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত সোয়াইবের বাবা নাজমুল হোসেন মাসুম ছেলেকে অপহরণের পর হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে মোশারফ হোসেন, রাজু মিয়া, ফজল হক, জসিম উদ্দিন, শিরসতালী, নাছির উদ্দিন, আলী আহাম্মদ ও রিনা বেগমসহ ১৩ জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ আসামি মোশারফ হোসেন, রাজু মিয়া, নাছির উদ্দিন, ফজল মিয়া, শিরসতালী ও আলী আহাম্মদসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।
পরে আসামিরা শিশু সোয়াইবকে অপহরণের পর হত্যার দায় স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রূপমের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও প্রদান করে।
জবানবন্দিতে আসামিরা আদালতকে জানায়, নারীঘটিত বিরোধের কারণে শিশু সোয়াইব হোসেনকে অপহরণের পর প্রথমে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কেটে বিচ্ছিন্ন করে অ্যাসিড দিয়ে শিশুটির পুরো শরীর ঝলসে দেয় তারা।
তবে নিহত সোয়াইবের বাবা নাজমুল ইসলাম মাসুম রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া সব আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছিলাম। এ ব্যাপারে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শিশু সোয়াইব হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, সন্তুষ্ট নয় বাদী
সাত বছর পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলেরগাঁও গ্রামের ৫ বছরের শিশু সোয়াইব হত্যা মামলার রায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং বাকি চারজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তবে এ রায়ে সন্তুষ্ট নয় বাদীপক্ষ।
সোমবার নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানা এ আদেশ দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হল- জসিম উদ্দিন, রাজু মিয়া ও ফজল হক। ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম নাছির উদ্দিন। বাকি খালাসপ্রাপ্তরা হল- রিনা, মোশরফ হোসেন, আ. রহিম ও আবদুস সালাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সোনারগাঁ উপজেলার মঙ্গলেরগাঁও এলাকায় শান্তিনগর দারুননাজাত নূরানি মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র সোয়াইব হোসেন নিখোঁজ হয়। ঘটনার ছয় দিন পর ওই এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাশ থেকে সোয়াইব হোসেনের গলাকাটা ও শরীর ঝলসে দেওয়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত সোয়াইবের বাবা নাজমুল হোসেন মাসুম ছেলেকে অপহরণের পর হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে মোশারফ হোসেন, রাজু মিয়া, ফজল হক, জসিম উদ্দিন, শিরসতালী, নাছির উদ্দিন, আলী আহাম্মদ ও রিনা বেগমসহ ১৩ জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ আসামি মোশারফ হোসেন, রাজু মিয়া, নাছির উদ্দিন, ফজল মিয়া, শিরসতালী ও আলী আহাম্মদসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।
পরে আসামিরা শিশু সোয়াইবকে অপহরণের পর হত্যার দায় স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রূপমের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও প্রদান করে।
জবানবন্দিতে আসামিরা আদালতকে জানায়, নারীঘটিত বিরোধের কারণে শিশু সোয়াইব হোসেনকে অপহরণের পর প্রথমে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কেটে বিচ্ছিন্ন করে অ্যাসিড দিয়ে শিশুটির পুরো শরীর ঝলসে দেয় তারা।
তবে নিহত সোয়াইবের বাবা নাজমুল ইসলাম মাসুম রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া সব আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছিলাম। এ ব্যাপারে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।